চোরাই পথে পাচার হচ্ছে স্থল বন্দরের নামে আনা রপ্তানী পণ্য : রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার

আবুল কালাম আজাদ: টেকনাফের স্থল বন্দরের নাম দিয়ে কতিপয় বাণিজ্য ব্যবসায়ী নামধারী রপ্তানী পণ্য বন্দর দিয়ে না দিয়ে চোরাই পথে পাচার করছে। ফলে টেকনাফ স্থল বন্দরের রাজস্ব দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। খোজ খবর নিয়ে জানা যায়, টেকনাফ স্থল বন্দরের আমদানী রপ্তানী কারক নাম দিয়ে কতিপয়
বাণিজ্য ব্যবসায়ী টেকনাফ পৌরসভার উপরের বাজার, নিচের বাজার ও স্টেশনে গোদাম জাত করে রাতের অন্ধকারে চোরাই পথে মালামাল পাচার করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা যায়। এর ফলে টেকনাফ স্থল বন্দরে আমদানী রপ্তানী কমে গেছে হ্রাস পাচ্ছে সরকারী রাজস্ব। অনুসন্ধানে জানাযায় টেকনাফ পৌর এলাকার নিচের বাজার বিছমিল্লাহ স্টোর, শাকিল ট্রেডার্স, সালাম এন্ড ব্রাদার্স আমদানী রপ্তানী কারক টেকনাফ স্থল বন্দরের লাইসেন্সের নাম ভাঙ্গিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জুতা, সেন্ডেল, বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক, কাপড় ইত্যাদি কামাল নামক এক ব্যবসায়ী তার দোকনে ও তার দোকানের পিছনে গোদাম জাত করে রাতের অন্ধকারে খায়ুকখালী খাল দিয়ে মিয়ানমারে পাচার করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়। অথচ তার সাথে যোগাযোগ করা হলে সে জানায়, আমি একজন বাণিজ্য ব্যবসায়ী, আমার বাণিজ্য লাইসেন্স রয়েছে। লাইসেন্স প্রদর্শন করার জন্য বলা হলে সে সালাম এন্ড ব্রাদার্স, শাকিল ট্রেডার্স, বিছমিল্লাহ স্টোর, রহমান এন্ড সন্স ইত্যাদির কপি প্রদর্শন করেন। যাহা তার কোন হদিস নেই। এ ব্যপারে টেকনাফ স্থল বন্দর কাস্টমের সাথে যোগাযোগ করা হলে কাস্টম কর্তৃপক্ষ জানান, কামাল নামের কোন বাণিজ্য ব্যবসায়ী নেই। পাশাপাশি সালাম এন্ড ব্রাদার্স, শাকিল ট্রেডার্স, বিছমিল্লাহ স্টোর ও রহমান এন্ড সন্স এর মালিক দের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, আমাদের সাথে কামাল নামের কোন ব্যক্তির ব্যবসার সম্পর্ক নেই। সুতরাং আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি সে চোরাই পথে মালামাল পাচার করছে। এ ব্যপারে তারা কামালের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। টেকনাফ লামার বাজার কামালের দোকান পরিদর্শন করে দেখা যায় উল্লেখিত লাইসেন্সের অনুকূলে সে গত সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৭৫হাজার সেন্ডেল ইহাছাড়া ২/৩লক্ষাদিক টাকার বিভিন্ন কসমেটিক মালামাল এনে তার দোকানে ও গোদামে গোদাম জাত করে রেখেছেন। যা পবিত্র ঈদ উপলক্ষে চোরাই পথে মিয়ানমারে পাচার করবে। তার পাশাপাশি টেকনাফ উপরের বাজার কিছু কাপড় ব্যবসায়ী টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে কাপড় রপ্তনী করবে মর্মে ভূয়া কাগজ দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান দিয়ে কাপড় এনে চোরাই পথে মিয়ানমারে পাচার করছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানায়। ইহাছাড়া কতিপয় প্লাস্টিক ব্যবসায়ী ও একই কায়দায় এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে টেকনাফ স্থল বন্দরের এনবিআর কর্তৃক বেধে দেওয়া রাজস্ব পুরণ করতে পারছেনা। বরং প্রতি মাসে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন