গর্জনিয়া এক ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে দূর্নীতি অনিয়মি স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

এম. আমান উল্লাহ
গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আতাউল্লাহর বিরুদ্ধে দূর্নীতির গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, একের পর এক দূর্নীতি করে পার পাওয়ায় দূর্নীতি এখন তার পেশা হয়ে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে অভিনব কায়দায়
প্রত্যন্ত অঞ্চলের অতি সহজ-সরল জনসাধারণের নাম ভাঙিয়ে সরকারি-বেসরকারি ও এনজিও সংস্থার রিলিফের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বিভিন্ন সংগঠনে মসজিদ-মাদ্রাসা সংস্কারের নামে নগদ টাকাসহ টিআর কাবিকা প্রকল্পের গম চুরির অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২ বছর পূর্বে গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন আহমদ হোসন প্রকশা আমচনের পুত্র আতাউল্লাহ। ওই দূর্নীতিবাজ মেম্বারের পূর্বে তেমন কোন সহায়-সম্পত্তি ছিল না। এবং তার দরিদ্র পিতার আহামরি বিত্ত-সম্পদও নেই। কোন রকম দু’বেলা, দু’মুঠো খাবার মিলাতেও তুষ্ট হত তার পরিবারে। কিন্তু এই প্রতারক দূর্নীতিবাজ ও অপকর্মের গড ফাদার আতা উল্লাহ মেম্বার একন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। দূর্নীতি করে নামে বেনামে বহু সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেছে দূর্নীতিবাজ ও বহু অপকর্মের হুতা আতউল্লাহ মেম্বার। অন্যদিকে তার সম্পদের হিসাব মিলালে বেরিয়ে আসবে বহু দূর্নীতির অজানা তথ্য। দূর্নীতি করে গড়ে তোলা সম্পদের হিসাব নেওয়ার জন্য দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-কে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব আপামর জনসাধারণ
এদিকে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ জুন বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় রামুর বেশকিছু ইউনিয়ন। তৎমধ্যে গর্জনিয়া ইউনিয়ন অন্যতম। ওইসব বন্যা কবলিত এলাকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল সরকারি বেসরকারি এনজিও সংস্থা। ওই এনজিও ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে ত্রাণ ও নগদ টাকা বিতরণের দায়িত্বভার তুলেদেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৮১৫ পরিবারের মধ্যে প্রতি পরিবারের জন্য বরাদ্দ রয়েছে নগদ ৭ হাজার টাকা ও চাল, ডাল, তেলসহ আরও কয়েক প্রকার খাদ্য সামগ্রি। 
লোক দেখানোর জন্য খুব অল্পটুকু ত্রাণ ও নগদ টাকা বিতরণ করলেও সিংহভাগের বেশি টাকা নামে বেনামে ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার আতাউল্লাহ নিজেই আত্মসাৎ করেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। আরও অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি উপজেলার টিআর প্রকল্প হতে গর্জনিয়া ইউনিয়নের আজিজিয়া কাশেমুল উলুম মাদ্রাসার নামে সংস্কারের জন্য ২ টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই বরাদ্দকৃত গমের টাকা মাদ্রাসায় না দিয়ে দূর্নীতিবাজ ওই মেম্বার নিজেই আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই দূর্নীতিবাজ মেম্বারের একের পর এক দূর্নীতির চিত্র বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তুলে ধরে স্মারকলিপি প্রদান করা হলেও প্রশাসনের কোন আইনী প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়ে পড়েছে। ওই দূর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আইনি ব্যবস্থা না নিলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন এলাকার অসহায় জনসাধারণ। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেম্বার আতাউল্লাহর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়া মাত্র মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেন। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন