পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের বিভিন্ন খোলা ও পাইকারী বাজার বাড়তি দ্রব্যমূল্যের কারণে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। রমজান মাসে পন্যদ্রব্যের বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে একশ্রেণির মুনাফাদস্যু ও মওজুদদার ব্যবসায়ী পিয়াজ, আদা, ডাল, ছোলা,
ভোজ্যতেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে।
সরেজমিনে গতকাল জেলার বৃহত্তম বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারের পাইকারী ও খুচরা মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহে পেয়াজ, আদা, ডাল, ছোলা, ডিম, ভোজ্যতেল ও কাঁচা শাকসবজির দাম ১০ শতাংশ বেড়েছে। তবে কিছু কিছু পন্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাড়তি চাহিদার কারণে কিছু কিছু পণ্যের দাম বাড়লেও সপ্তাহ খানেকের মধ্যে পণ্যবাজার স্থিতিশীল হয়ে উঠবে।
শহরের বড় বাজারে বাজারের ব্যবসায়ী নূরুল হক জানান, যারা রমজানকে ঘিরে বাড়তি মুনাফার উদ্দেশ্যে পন্য মওজুদ করেছে তাদের মাথায় বাজ পড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে পিয়াজের কেজি ৪৮ টাকা, আদা প্রতিকেজি ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, ছোলা ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, মসুরডাল ১১০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকা, ডিম প্রতি হালি ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪২ টাকায় দাড়িয়েছে।
প্রতি কেজি রসুন ৯০ টাকা থেকে কমে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, চিনি, আটা, ময়দা, গুড়ো দুধ ও তরল দুধের দাম।
অন্যদিকে কাঁচা শাকসবজির দাম বেড়েছে। কাচা মরিচ এক লাফে ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩৫ টাকা, প্রতি কেজি শসা ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকা, ঝিঙে ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা, করলা ৩৫ টাকা থেকে ৪৫ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যান্য সবজির বাজারমূল্য প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। বাহারছড়া বাজারে বাজার করতে আসা রিক্সা চালক মোহাম্মদ রশিদ দৈনিক এ প্রতিনিধিকে জানান, কিছু পন্যের দাম বেড়েছে তাতে নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে প্রয়োজন মত কেনাকাটা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, রমজান মাসে মুখরোচক ও রকমারী ইফতার সামগ্রী তৈরীতে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যদ্রব্য এবং খাদ্যে ব্যবহার অনুপযোগী বিষাক্ত রঞ্জক পদার্থ ব্যবহারের ফলে প্রতি বছর জনস্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হয়।
তাছাড়া ফরমালিন ও বিষাক্ত কাবাইড মিশ্রিত আমসহ রকমারী মৌসুমী ফলে বাজার সয়লাব। রমজান মাসকে ঘিরে ইতোমধ্যেই বাজারে এসেছে নানা ব্রান্ডের ভেজাল ঘি ও ভোজ্যতেল। তার উপর ফরমালিনযুক্ত মাছ তো আছেই।
একদিকে পন্যের বাডতিমুল্য অপরদিকে ফরমালিন ও বিষাক্ত কাবার্ইড মিশ্রিত মৌসুমী ফল এবং বিষাক্ত রঞ্জকমিশ্রিত ইফতারসামগ্রি, ভেজাল ঘিসহ অন্যান্য পন্যসম্ভার, সবমিলিয়ে ভোক্তাসাধারণ উদ্বিগ্ন।
বাংলাদেশ ট্রেডিং কপোর্রেশন (টি সি বি) ও সমন্নিত টাস্কফোর্সর মাধ্যমে বাজার তদাকির সুফল ভোক্তারা পেলেও ভেজাল বিরোধী অভিযান ও ভাম্যমান আদালত পরিচালনা করা জরুরী বলে মনে করছেন সচেতন ভোক্তাসাধারণ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন