কুতুবদিয়ার পিআইওর বিরুদ্ধে সরকারী অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনঃ কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার ৬ ইউনিয়নে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের অধিনে বিগত ২০১২-১৩ অর্থবছরে কাবিখা, টিআর ও কর্মসৃজন কর্মসুচীর আওতায় বরাদ্দ দেয়া প্রায় ১ কোটি টাকা মূল্যের চাল, গম ও নগদ টাকা ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্ণীতির মাধ্যমে
লুটপাট হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কুতুবুদিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সৌভ্রাত দাশ বিল ভাউচার ও মাষ্টার রোল তৈরী করে এসব টাকা লুটপাট করেছে বলে স্থানীয় সচেতন জনগন অভিযোগ করেছেন। যা সরেজমিনে প্রতিটি প্রকল্প উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করলে এ অনিয়ম ও দূর্ণীতির প্রমান পাবে বলে তারা দাবী করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে কুতুবদিয়া উপজেলার ৬ ইউনিয়নের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষানাবেক্ষণ ও সংস্কার কর্মসূচীর আওতায় টিআর, সাধারণ, নির্বাচিত এমপি, সংরক্ষিত এমপি ও কাবিখা প্রকল্পের অধিনে ৩৮১ মেট্টিক টন খাদ্যশষ্য বরাদ্দ দেয়া হয়। এসব খাদ্য শষ্যের অধিনে প্রতিটি ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির সংস্কারসহ যে সব প্রকল্প গ্রহণ করা হয় তার কোনটি ও কাবিখার নীতিমালা ও স্পেসিকেশন অনুযায়ী বাস্তবায়িত হয়নি। বরাদ্দকৃত খাদ্য শষ্যের বিক্রয় মূল্য থেকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মন্ত্রনালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতি টনে দেড় হাজার থেকে ২ হাজার টাকা করে উৎকোচ আদায় করেছেন । ফলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি এ সুযোগে নিজেরা ও প্রতিটন খাদ্য শষ্যের বিক্রয় মূল্য থেকে স্ব-স্ব চেয়ারম্যান ও নিজেদের পকেটস্থ করেছে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা করে। এভাবে অর্ধেক টাকা ভাগ বাটোয়ারা হয়ে যাওয়ায় প্রকল্প গুলো সঠিক ভাবে বাস্তবায়িত হয়নি বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। অপর দিকে ওই উপজেলায় অতি দরিদ্রের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পের শ্রমিকদের ব্যবহারের জন্য উপকরণ ক্রয়ের খাতে বরাদ্দ দেয়া ৬ লাখ টাকার ও বেশি লুটপাট করেছে বলে বেশ ক‘জন ইউপি চেয়ারম্যান অভিযোগ করেছেন।
     এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে গতকাল শনিবার কুতুবদিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সমূহ অস্বীকার করে বলেন একটি মহল নানা অভিযোগ তুলে আমাকে হয়রানী করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।