প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে কক্সবাজার পৌরসভায়

ডেস্ক রিপোর্ট: কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলররা দায়িন্ত নেওয়ার প্রথম দিনেই পৌর ভবনে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। একইসাথে নবগঠিত ওয়ার্ডগুলোর লোকজন তাদের প্রতিনিধি পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। পৌরভবনে আগত বিভিন্ন দর্শনার্থীদের মধ্যে ছিল উচ্ছাস।

পৌরসভায় নতুনভাবে সংযুক্ত সমিতি পাড়ার এক স্কুল শিক্ষক আব্দুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন অভিভাবকহীন ছিল তাদের এলাকা। গত শনিবার পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথের মাধ্যেমে আনুষ্টানিকভাবে দায়িত্ব পেয়েছে ওই এলাকার কমিশনার। যার ফলে সমিতি পাড়ার লোকজন অভিভাবক পেয়েছেন। যিনি ওই এলাকার দেখা-শোনার দায়িত্ব নিয়েছেন।
আরেকটি নতুন সংযুক্ত এলাকা কলাতলীর হোটেল ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ চৌধুরী জানান, পর্যটকদের জন্য কলাতলী সবচেয়ে গুরুত্বর্পূণ স্থান। কিন্তু এ গুরুত্বর্পূণ হোটেল মোটেল জোনে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন অপকর্ম, পানি নিষ্কাশনে ক্রটি, পর্যটকদের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এলাকায় আগে কোন কমিশনার না থাকলেও বর্তমানে আনুষ্ঠানিকভাবে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাঁর প্রচেষ্টায় এলাকায় আইন-শৃংখলা থেকে শুরু করে সার্বিক পরিস্থিতির আরো উন্নয়ন হবে বলে ধারনা করছেন।
নুনিয়ারছড়ার মাছ ব্যবসায়ী শাহাবউদ্দিন জানান, ওই এলাকায় পূর্ব থেকে স্থানীয় কমিশনার না থাকায় মাছ ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসি বহুমুখি সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিল প্রতিনিয়ত। যা সমাধানে একজন পৌর কমিশনার খুবই জরুরী ছিল। অবশেষে পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথের মাধ্যমে নতুন কমিশনার পেয়ে স্বস্তি ফিরে এসেছে এলাকাবাসি ও মাছ ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
শহরের টেকপাড়ার শামশুল আলম নামে এক ব্যক্তি জানান, দীর্ঘ আড়াই বছর পর তারা পূনরায় ফিরে পেয়েছে পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর। পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নে যাদের ভূমিকা অন্যন্য। তিনি আশা করছেন গত শনিবার সকাল ১১ টায় শপথ পূর্বক দায়িত্ব নেওয়া নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা পৌরবাসিকে একটি উন্নত পৌরসভা উপহার দেবেন।
পৌরসভায় গুরুত্বপূর্ণ কাজে আসা বৈদ্যঘোনার মৃত কাসেম আলীর ছেলে জসিম জানান, তিনি কাজটি খুব সহজে স¤পন্ন করেছেন। যা শপথের পূর্বে এত সহজে সম্ভব হয়নি। পৌরসভার কার্যক্রম এভাবে চলতে থাকলে পৌরবাসি উপক্রিত হবেন।
পৌর মেয়র সরওয়ার কামাল জানান, পৌরসভার সকল মেয়র ও কাউন্সিলরদের দায়িত্ব আইন-শৃংখলা রক্ষায় সহযোগিতা ও পৌরবাসির সেবা করা। তিনি ও সকল কাউন্সিলর নিজ নিজ জায়গা থেকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে পৌরবাসির সেবা প্রদানে।