পাইলিন আতঙ্কে উপকূলের আড়াই লাখ মানুষ : অপর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের আড়াই লাখ মানুষ সাগরে সৃষ্টি ঘূর্ণিঝড় ‘পাইলিন’ সংকেতের খবর শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এ উপজেলায় দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য ৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্র (সাইক্লোন সেন্টার) থাকলেও এগুলো পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উপজেলার ১৪৩টি গ্রামের মধ্যে ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে পরবর্তী সময়ে ৩৭টি ১৯৯৪ সালের হারিকেনের পর থেকে এ পর্যন্ত আরও ২০টি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হলেও এর মধ্যে বতর্মানে ২৫টি জরাজীর্ণ হয়ে ব্যবহার অনুপযোগী।
দুর্যোগ বা জলোচ্ছ্বাস হলে এসব কেন্দ্র জনগণের কোনো কাজে আসে না। এতে উপকূলের হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকির মুখে পড়ে। প্রতিটি দুর্যোগে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে লড়াই করে বসবাস করতে হয়। প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, রেশমী, বিজলী ও নার্সগিসের আঘাতে বেড়িবাঁধ, বসতবাড়ী, সড়ক লণ্ডভণ্ড হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া দুর্যোগের কারণে একের পর এক প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। এখন খোলা বাঁধ থাকায় পুরো উপজেলার আড়াই লাখ মানুষ ‘পাইলিন’ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
২০১২ সালে জুন মাসে পশ্চিমপাড়ার বাঁধের একটি অংশ জোয়ারের তোড়ে ভেঙে এখনও টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এরপর ঘূর্ণিঝড় পাইলিনের সংকেতের খবর শুনে এলাকার লোকজন নতুন করে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।  
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এ দ্বীপের ৪০ হাজার মানুষের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে মাত্র ছয়টি। যা পর্যাপ্ত নয়। ১৯৯১ সালেল ঘূর্ণিঝড়ের পর সেন্টমার্টিনে তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দুই যুগের বেশি সময় ধরে এগুলোর সংস্কার না হওয়ায় ইতিমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। পুরো দ্বীপে মাইকিং করার পাশাপাশি শুকনো খাবার হিসেবে গুড়, চিড়া, মুড়ি ও জারিকেন ভর্তি খাবার পানি মজুদ রাখাতে বলা হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন