এ ব্যাপারে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগমের সঙ্গে কালের কণ্ঠ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, 'অভিযোগটি আমাদের কাছেও এসেছে। কিন্তু কথিত প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মূল প্রশ্নপত্র মিলিয়ে দেখা গেছে, তাতে ৬০ শতাংশ মিল আছে।' ফাঁস হওয়া প্রশ্নকে 'শর্ট সাজেশন' হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ট্র্যাডিশনাল পদ্ধতির পরীক্ষায় অভিজ্ঞ শিক্ষকরা শর্ট সাজেশন তৈরি করলে তাতে ৬০ শতাংশ প্রশ্ন মিলে যেতেই পারে। আর এর সুযোগ নিচ্ছে এক ধরনের অসত্ ব্যবসায়ীচক্র। তারা আমাদের কোমলমতি শিশুদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হলে এমনটি হতো না বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।'
জেএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের আগে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (মাধ্যমিক) এ এস মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, এমনিতেই হরতালের কারণে সময়মতো পরীক্ষা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। এর ওপর এ রকম কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে থাকলে তা হবে জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
জেএসসি পরীক্ষা এবার শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ওঠে। হাতে লেখা প্রশ্নপত্রের সেট রাজধানীর কয়েকটি এলাকার ফটোকপির দোকান থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হতে থাকে। এই প্রশ্নগুলো আবার মোবাইল ফোনে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিকটাত্মীয়ের কাছে প্রশ্ন পৌঁছে দিয়েছেন, এ রকম একজন এই প্রতিবেদকের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, তিনি যে প্রশ্নটি জানিয়ে দিয়েছেন তা পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে গেছে।
আগামী শনিবার অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ বিজ্ঞানের প্রশ্নও ফাঁস হওয়ার অভিযোগ এসেছে। হাতে লেখা কপি বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে। কথিত প্রশ্নপত্রের একটি কপি কালের কণ্ঠেও পৌঁছেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন