নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের নির্ধারিত সম্মেলন আজ বৃহ¯পতিবার হচ্ছে না। সম্মেলনের প্রায় আগ মুহুর্তে মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় হাই কমান্ড থেকে সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। সম্মেলন স্থগিত করার কারণ হিসাবে দেশের বর্তমান অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে দায়ী করা হয়। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ আজকের সম্মেলন স্থগিত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমান অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণেই সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।
বিষয়টি মঙ্গলবার রাতে তাকে জানানো হয়েছে। এ সম্মেলন স্থগিত করায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী ও বর্তমান কমিটির অর্থ সম্পাদক শাহ আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, নতুন নেতৃত্ব আসার পথ রুদ্ধ করতে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করে বার-বার সম্মেলন পিছিয়ে দিচ্ছে। এ নিয়ে গত এক বছরে ১৩/১৪ বার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। এই কারণে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে হতাশারও সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি। সম্মেলন স¤পন্ন না হওয়ার কারণে আগামী নির্বাচনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংকা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সম্মেলন করে আমরা জেলার চার আসনে বিজয়ের একটি ছক তৈরী করেছিলাম। কিন্তু সম্মেলন স্থগিত করে সমস্ত পরিকল্পনায়ই পন্ড করে দেয়া হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন স¤পন্ন করার জন্য প্রথমবার সাংগঠনিক স¤পাদক বীর বাহাদুরকে দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি সম্মেলন স¤পন্ন করতে ব্যর্থ হওয়ায় দ্বিতীয়বার তার পাশাপাশি প্রেসিডিয়াম সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়। বার-বার তারিখ পিছিয়েও সম্মেলন করতে তারা ব্যর্থ হলে সর্বশেষ গতমাসে প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি তার দায়িত্ব পাওয়ার পর কক্সবাজারের আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। এ সময় প্রথমে ৪ নভেম্বর, পরে ৭ নভেম্বর সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে দেন তিনি। কিন্তু শেষমুহুর্তে সম্মেলন স্থগিত করা হয়।
সম্মেলন স্থগিত হওয়া স¤পর্কে জানতে চাইলে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে মন্তব্য করা মুশকিল। তবে হাই কমান্ড যখন চাইবে তখনই সম্মেলন হবে।
জানা যায়, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে। ওই সম্মেলনে একেএম মোজাম্মেল হক সভাপতি ও সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি সাধারণ স¤পাদক নির্বাচিত হন। পরের বছর সভাপতির মৃত্যু হলে প্রথমে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয় সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীকে, পরে এই দায়িত্ব সহ-সভাপতি এডভোকেট একে আহমদ হোসেনকে দেয়া হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন