ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ভাঙিয়ে রামু থানা এলাকায় ক্যাশিয়ার আবদুল হকের ব্যাপক চাঁদাবাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক
বদলির ৩ মাসেও নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করে আগের চেয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ছেন রামু থানা পুলিশের ক্যাশিয়ার পরিচয়ী কনস্টেবল আবদুল হক। থানায় কর্মরত ওসি সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ভাঙিয়ে হরদম তার চাঁদাবাজির কথা সংশ্লিষ্ট এলাকার ভুক্তভোগীদের মুখে মুখে হলেও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও বিষয়টি না দেখার ভান করে এড়িয়ে চলছেন। ফলে রামু থানা এলাকায় কনস্টেবল আবদুল হকের উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন সাধারণ জনগণ। 

জানা গেছে, অপরাধীদের কাছ থেকে থানা পুলিশের জন্য দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক চাঁদা উত্তোলনকারী উক্ত পুলিশ কনস্টেবল আবদুল হক বছর দেড়েক আগে যোগদান করেন রামু থানায়। এর আগেও ওসি শাহজাহানের আমলে তিনি ছিলেন এ থানার ক্যাশিয়ার। থানা এলাকায় বিভিন্ন পয়েন্টে তার ব্যাপক যোগসাজশ ও চাঁদাবাজিতে পারদর্শী হওয়ায় পরপর দুই বার তদবির করে রামু থানায় এসে তিনি কোনদিন পড়েননি ইউনিফর্ম। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার ১১ ইউনিয়নের সকল মাদক বিক্রির স্পট, অবৈধ গাছ, বাঁশ, লতা-পাতা থেকে শুরু করে ইটভাটা এমনকি থানার তালিকাভুক্ত বাঘা বাঘা সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলেন সবসময়। জানা গেছে, রামু থানার ওসি কনস্টেবল আবদুল হকের চাঁদাবাজির কথা সবসময় অস্বীকার করলেও বাস্তবে আবদুল হকের উত্তোলনকৃত চাঁদা থেকেই চলে তার বাসার বাজার, গাড়ির তেল ও অফিসের বাহ্যিক সকল খরচপাতি। শুধু তাই নয়, থানায় কোন মেহমান গেলেও ক্যাশিয়ার আবদুল হক আপ্যায়নসহ যাবতীয় মেহমানদারি করেন। সকাল-বিকাল বাজার করে মেস চালান তিনি। একারণে পুলিশের খাতায় ক্যাশিয়ার হিসেবে কোন পদবি না থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে রামু থানা পুলিশের এই কনস্টেবলকে দিয়েই উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদে ব্যাপক চাঁদাবাজি চলছে। 
সূত্র জানায়, ক্যাশিয়ার আবদুল হককে তুষ্ট করতে না পারলে অসন্তোষ্ট হয়ে পড়ে পুরো রামু থানা পুলিশ। ফলে মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন পুলিশি হয়রানি থেকে বাঁচতে সাধারণ লোকজন দিনের পর দিন তাকে চাঁদা দিয়েই চলছে। সূত্র মতে, ক্যাশিয়ার আবদুল হক কর্তৃক চাঁদাবাজির এই টাকা থেকে মাসের শেষে এক শ্রেণির সংবাদকর্মী ও দূর্নীতিবাজ কিছু ঊর্ধ্বতন  কর্মকর্তার পকেটে ভাগ চলে যায়। ফলে দিনের পর দিন প্রকাশ্যে তিনি চাঁদাবাজি করে আসলেও কেউই তার বিরুদ্ধে টুঁ শব্দ করার সাহস পায় না। এই অবস্থায় একজন চাঁদাবাজ পুলিশ কনস্টেবলের কারণে রামু উপজেলার আনাচে-কানাচে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি এখন রসাতলে। এতে করে সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হচ্ছে দারুনভাবে। তাই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ভুক্তভোগীরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন