কক্সবাজার ভেন্যুও বিসিবির নয়!

ডেস্ক রিপোর্ট
এতোদিন জানা যাচ্ছিল, কক্সবাজারে তৈরি হতে থাকা নতুন স্টেডিয়ামটির পূর্নাঙ্গ মালিকানাই হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। সে জন্যই বিসিবি নিজের কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলে তৈরি করছে এ স্টেডিয়াম।
বিসিবিকে এই স্টেডিয়াম নির্মানের জন্য জমি বরাদ্ধ দিতে স্বয়ং প্রধাণমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছিল।
কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, আইনগত জটিলতায় এই কক্সবাজার স্টেডিয়ামেরও পূর্নাঙ্গ মালিকানা পাচ্ছে না ক্রিকেট বোর্ড। জমির মালিক সেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদই থাকছে। কারণ জেলা পরিষদ রাষ্ট্রীয় কোনো স¤পদ ফেডারেশনকে লিখে দিতে পারবে না। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে জমির মালিকানা পাবে এনএসসি।
তবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চাইলে দলির হস্তান্তর করতে পারবে বিসিবিকে। কিন্তু এনএসসি এতটা উদারতা দেখাবে কিনা বলা মুশকিল। যদিও বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন ভুইয়া বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেখানে বিসিবিকে জমি দিতে বলেছে। আর স্টেডিয়ামটা যেহেতু বিসিবির টাকায় হবে, সেহেতু এনএসসি অবশ্যই জমি লিখে দেবে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকেও তো তারা আরামবাগে জমি দিয়েছে। যেখানে এখন বাফুফে ভবন এবং টার্ফের মাঠ হয়েছে। তাহলে ক্রিকেটকে না দেওয়ার কোনো কারণ নেই। বিসিবি তো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান।’
এনএসসি তাদের টাকায় কক্সবাজারে স্টেডিয়াম করার প্রস্তাব দিয়েছিল বিসিবিকে। সূত্র জানায়, ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিসিবির ওপর এনএসসি কর্মকর্তারা এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার খুবই ক্ষিপ্ত। এই একটি কারণে ২০১৪ সালে বিশ্ব টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ভেন্যু সংস্কারের কাজ শুরুতেও বিলম্ব করে এনএসসি। যে জন্য আইসিসি ভেন্যু অন্য দেশে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাবনাও রেখেছে। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কাকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করেছে আইসিসি।
শেষপর্যন্ত হয়তো কোনো ঝামেলাই করতে হবে না আইসিসিকে। নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই ভেন্যুগুলো প্রস্তুত হবে বলে আশাবাদী বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। আইসিসির নির্বাহী কর্মকর্তাদের তিনি এটা বোঝাতে সক্ষম হবেন বলে দাবি তার। এই আত্মবিশ্বাসের মূলে রয়েছে সিলেট ভেন্যুতে দ্রুত কাজ এগুচ্ছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের জন্যই। বিসিবি সভাপতি অর্থমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়ে সমস্যা সমাধানের অনুরোধ জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন