ইসলামপুরে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় বিচ্ছু ডাকাত গ্রেফতার, জনমনে স্বস্তি

মোঃ মিজানুর রহমান আজাদ
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ২৪ জুন গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে মিজানুর রহমান (১৯) ওরফে বিচ্ছু ডাকাত নামের এক অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে।
ধৃত ডাকাত উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ইউছুপেরখীল গ্রামের আবদুর রশিদ মিস্ত্রীর পুত্র। অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মনজুর কাদের ভুইয়া জানান, এলাকার বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে ধৃত মিজান দীর্ঘদিন ধরে এলাকা ও বাহিরে ডাকাতিসহ নানা অপরাধ মুলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার পরও ধরা ছোয়ার বাহিরে ছিল। বিশেষ করে সম্প্রতি ইসলামপুরে পুলিশ ডাকাত বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় সে জড়িত ছিল এবং ঘটনার পর থেকে সে গা ঢাকা দেয়। এর পর থেকে তাকে গ্রেফতারে নজরদারী শুরু হয়। সোর্সের মাধ্যমে পাওয়া সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানের দিন রাতে সে গোপনে বাড়িতে অবস্থানের সংবাদ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। এ ছাড়া ঈদগাঁও বোয়ালখালী সড়কে যেসব ডাকাতি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে তাতেও বিচ্ছু ডাকাত ও তার সাঙ্গপাঙ্গ জড়িত থাকতে পারে। গ্রেফতার পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে সে ডাকাতি ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার ব্যাপারে সে পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। এদিকে তার গ্রেফতারের সংবাদে এলাকার লোকজন স্বস্থি প্রকাশ করে বলেন, বয়সে কিশোর হওয়ায় সে এলাকায় বিচ্ছু ডাকাত বলে পরিচিত। দিন দিন সে এমন বেপরোয়া হয়ে উঠছিল যে রাতের বেলায় ঈদগাঁও-বোয়ালখালী-গোমাতলী সড়কদিয়ে পথচারীদের যাতায়াত করা ছিল দুঃসাধ্য। আটক ডাকাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বেরিয়ে আসবে বোয়ালখালীর সড়কসহ বৃহত্তর ঈদগাঁওর যেসব ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ সংঘটিত হয় এতে কারা করা জড়িত থাকতে পারে। এ ব্যাপারে এলাকার লোকজন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তার গ্রেফতারের সংবাদে এলাকার অনেকে মিষ্টি বিতরণ করে বলে জানা গেছে। এদিকে গ্রেফতার পরবর্তী ডাকাতের ভাই ও আত্মীয় স্বজনরা স্থানীয় লোকজনদের নানা ভাবে হামলা মামলার হুমকি দিচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া সংবাদে জানা গেছে। আটকের দিনই তাকে ইসলামপুর বন্দুক যুদ্ধের ঘটনার আসামী হিসেবে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ইনচার্জ এসআই মনজুর কাদের ভুঁইয়া।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন