টেকনাফ উপজেলার পার্শ্বেই বনবিভাগের পাহাড় কেটে অট্টালিকা নির্মাণ অব্যাহত

আবুল কালাম আজাদ
টেকনাফ উপজেলা পরিষদের পার্শ্বেই বনবিভাগের উপর নির্মিত হচ্ছে বড় বড় দালানকোঠা। দখল প্রতিযোগিতা অব্যাহত। এদের সিংহভাগই অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা।
টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ যেখানে প্রতিনিয়ত পাহাড়ের ঝুঁকিতে বসবাসরত বস্তি সরানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সেখানে উপজেলা পরিষদের পশ্চিমে বনভূমির জমি দখল করে প্রতিদিন নতুন নতুন দালানকোঠা অব্যাহত রেখেছে রোহিঙ্গারা। সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, টেকনাফ উপজেলা পরিষদের পশ্চিম পার্শ্বে ফকিরা মুড়া, টিএন্ডটি অফিসের পশ্চিম-উত্তরে পাহাড় কেটে প্রায় ৪০০/৫০০ বসতবাড়ি গড়ে তুলেছে স্থানীয় রোহিঙ্গারা। আবার এখানে প্রায় ৫০/৬০ টি ৩/৪ তলা অট্টালিকা ভবন। বিশাল বিশাল বনবিভাগের জমি দখল করে এ অট্টালিকা নির্মাণ হচ্ছে। অট্টালিকা নির্মাণকারীরা হচ্ছেন দিদার, হাফেজ আহমদ, গফুর সওদাগর, গুরা মিয়া, আবদুর রহমান, সৈয়দ উল্লাহ, ইসমাইল, শাহ আলম, জহির আহমদ, মনজুর, আবদুল হাকিম, নজির, বশির, কবির, সেলিম, সৈয়দ হোসেন, বার্মাইয়া লম্বাইয়াসহ আরও অনেকে। এ ব্যাপারে টেকনাফ রেঞ্জের বিট অফিসার শফিকুলের সাথে যোগাযোগ করা তিনি জানান, ৩০০/৪০০ বসতবাড়ির তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। অতি শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করে বনবিভাগের উপর নির্মিত বসতবাড়ি ভেঙ্গে দেওয়া হবে। পাশাপাশি তিনি স্থানীয় সচেতন মহলকে অনুরোধ জানিয়েছেন কেহ পাহাড় কেটে অথবা বনবিভাগের উপর নতুন করে বসতি নির্মাণ করতে চাইলে বনবিভাগকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন