ঘাটতি ৫৫ হাজার কোটি টাকা, বোঝা চাপবে ব্যাংকের কাঁধে

ডেস্ক রিপোর্ট
২০১৩-১৪ অর্থ বছরে বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ৫৫ হাজার ৩২ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। গত বাজেটে ছিলো ঘাটতি ছিলো ৫ শতাংশ। তবে অর্থমন্ত্রী সংশোধিত বাজেটে ঘাটতি ৪ দশমিক ৮ শতাংশ হিসাব করেছেন। এর মধ্যে ২৫ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা আসবে ব্যাংক খাত থেকে।
অতীতের মত এবার বৈদেশিক সহায়তা খুব বেশি পাওয়া যাবে না। এটি মেনে নিয়েই ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণের ওপর নির্ভর করে বড় আকারের ঘাটতি বাজেট দিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে পরপর তিন অর্থবছর পরে বাজেট ঘাটতি আবারও ৫ শতাংশের নিচে নিয়ে আসলেন অর্থমন্ত্রী। প্রস্তাবিত নতুন ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা খরচের পরিকল্পনা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এই বাজেট মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেট জিডিপির ১৮ দশমিক ১ শতাংশ থাকলেও সংশোধন করায় তা হয়েছে জিডিপির ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ। নতুন বাজেটে সব মিলিয়ে অনুন্নয়ন ব্যয়ের পরিমাণ এক লাখ ৫৬ হাজার ৬২১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৩ দশমিক ২ শতাংশ। আর মোট ব্যয়ের মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ৬৫ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা, যা জিডিপির মাত্র ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
বিশাল এই ব্যয় পরিকল্পনার বিপরীতে মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৬৭ হাজার ৪৫৯ কাটি টাকা। এই পরিমাণ আয় জিডিপির ১৪ দশমিক ১ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর এক লাখ ৩৬ হাজার ৯০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। এর বাইরে এনবিআর বহির্ভূত করের পরিমাণ ৫ হাজার ১২৯ কোটি টাকা (জিডিপির শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ) এবং কর বহির্ভূত রাজস্ব ২৬ হাজার ২৪০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ২ দশমিক ২ শতাংশ। আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্যহীনতায় আগামী অর্থবছরে সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে ৫৫ হাজার ৩২ কোটি টাকা যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। ঘাটতির জন্য এবার বৈদেশিক উৎস থেকে ২১ হাজার ৬৮ কোটি টাকার সংগ্রহ করা হবে। আর অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আসবে ৩৩ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। যার মধ্যে ২৫ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা আসবে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে। আর ৭ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা আসবে অন্য উৎস থেকে। 
বিদায়ী অর্থবছরে ঘাটতি অর্থায়নের জন্য ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ২৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা অর্ধেক হয়েছে।  নতুন অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ আসবে পরোক্ষ কর খাত থেকে, যার বেশির ভাগই দিতে হয় সাধারণ মানুষকে। যেমন, মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে আসবে ৪৯ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া আমদানি শুল্ক থেকে ১৪ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। আয়কর থেকে ৪৮ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা। স¤পূরক শুল্ক খাতে ২০ হাজার ৮৫৬ কোটি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন