নিষিদ্ধ হচ্ছে অগভীর সমুদ্রে মৎস্য শিকার

স্টাফ রিপোর্টার: ২০০ মিটারের অগভীর সমুদ্রে মাছের পরিমাণ নির্ধারণ এবং অবাধে মৎস্য শিকার নিয়ন্ত্রিত করার জন্য এ অঞ্চলে মৎস্য শিকার নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, মিয়ানমারের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত সমুদ্র সীমানায় বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকার সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন বিষয়ক ট্রাইব্যুনালের (ইটলস) দেয়া বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্রসীমা নির্ধারণী মামলার
রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে সেন্টমার্টিনস দ্বীপে ১২ নটিক্যাল মাইল রাষ্ট্রাধীন সমুদ্রে পূর্ণ সার্বভৌমত্ব, ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইইজেড) এবং ২শ’ নটিক্যাল মাইলের বাইরের মহীসোপানে সকল প্রাণিজ ও খনিজ স¤পদের উপর সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিস¤পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (মৎস্য) মো. আনিছুর রহমান জানান, আমাদের দেশে এই মুহূর্তের সামুদ্রিক মাছের কোনো জরিপ নেই। সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল এবং গভীর সমুদ্রে কি পরিমাণ মাছ রয়েছে তা আমরা জানিনা। এ কারণে সমুদ্রের ২০০ মিটার গভীরতায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এটি পাস করা হবে। তবে আমার কথা হলো ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বাংলাদেশের অধিকারে রয়েছে। এর মধ্যে মাছ ধরার জন্য সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
২০০ মিটারে মাছ ধরার জন্য সরকার ১৯৭৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মৎস্য ও প্রাণিস¤পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১৯৯টি এবং আদালতের মাধ্যমে ১০১টি ফিশিং ট্রলারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে ২০০টি ট্রলার সচল রয়েছে। অপরদিকে অবৈধভাবে রয়েছে প্রায় ৪০ হাজার নৌযান যা মৎস্য শিকারের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
যুগ্ম সচিব জানান, সর্বশেষ ২০০৩ সালে গভীর সমুদ্রে ৫টি লং লাইনার ফিশিং বোটের (বড়শির মাধ্যমে মাছ ধরা) অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। কিন্তু একটিও চালু করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে ৩০টি নৌযানের লাইসেন্স দিলেও চালু হয়েছে ৬টি। আরো দুটি দ্রুত চালু হবে বলে তিনি জানান।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক অনুমোদন দেয়া ২৫টি ফিশিং ট্রলারের মধ্যে (মিড ওয়াটার ফিশিং) ১৫টি নরমাল এবং (গভীর সমুদ্রে) ১০টি হচ্ছে লং লাইনার বোট।
গভীর সমুদ্রে টুনা ফিস আহরণের সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে এসব মাছ এঙপোর্ট করার জন্যও অনুমোদন চেয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে। যাতে করে ১০টি লং লাইনার জাহাজ তৈরির পরে আহরিত মাছ রফতানির সুযোগ পায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন