উখিয়ায় প্রকাশ্যে সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক এনজিও কর্মী অপহৃত:

উদ্ধার করে মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি

বিশেষ প্রতিবেদক: উখিয়ার কোট বাজার স্টেশন থেকে প্রকাশ্যে সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক কমান্ডু স্টাইলে এন.জি.ও কর্মীকে গত রবিবার বিকেলে অপহৃত হয়েছে। সন্ত্রীসীা ওবাইদুল হক তাকে বেদক মারধর পূর্বক তার কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ও শরীলে পরিহিত স্বর্ণলংকার ছিনিয়ে নেয়। টমটম গাড়ী করে নিয়ে থাকে গয়াল মারা রাস্তার পার্শ্বে ফেলে চলে যায়। সংবাদ পেয়ে আহত মোহছেনা আক্তারের পরিবারের সদস্যরা তাকে ওই স্থান থেকে
মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে গত রাত ১২টায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। মোহছেনা পরিবারের সদস্যরা জানান উখিয়ার উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের পূর্ব মরিচ্যা পাড়ার এলাকার মৃত মাওলানা বদিউল আলমের কন্যা মোহছেনা আক্তার (২৭) সঙ্গে ১১জানুয়ারী ২০১২সালে একই ইউনিয়নের পাগলীরবিল এলাকার মৃত সুলতান আহম্মদের পুত্র মো: ওবাইদুল হক প্রকাশ ছুটুর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পূর্বেই ১লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য মোহছেনার উপর প্রতিনিয়ত অমানবিক ভাবে নির্যাতন শুরু হয়। মোহছেনা আক্তার অনীহা প্রকাশ করে কর্মস্থল হলুদিয়া পাতাবাড়ী হাসপাতালে চলে যাই। ছুটু হাতে থাকা লোহার রড নিয়ে সেখানে গিয়ে তার হাতে থাকা লোহার রড নিয়ে মোহছনাকে এলোপাতাড়ী বেদম মারধর করে শরীরের বিভিন্নস্থানে মারাত্মক আঘাত ও থেতলানো ফুলা জখম করে এবং মারতে মারতে মরিচ্যা ষ্টেশনে মাহমুদুল হক ডেকোরেশনে আনিয়া সেখানেও মারাত্মকভাবে জখম করিলে মোহছনা অজ্ঞান হইয়া পড়ে। মোহছনাকে সিএনজি গাড়ীতে করে বাপের বাড়ীতে পাঠাইয়া দেয়। মোহছনার বৃদ্ধ মা এবং ছোট ভাই ও প্রতিবেশী লোকজন মোহছনার শরীলের জখমের অবস্থা আশংকাজনক দেখে মোহছনার শরীরের জখমের চিকিৎসার করার জন্য কক্সবাজার ফুয়াদ আল-খতীব হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা হয়। মোহছনা হাসপাতালে প্রায় ১১ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকে। যা স্থানীয় দৈনিক দৈনন্দিন পত্রিকায় “স্বামীর নির্যাতনে এনজিও কর্মী মোহছেনা ১১ দিন ধরে হাসপাতালে” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হইয়াছিল। চিকিৎসার পরে বাড়ীতে গেলে সন্ত্রাসী ছুটু মোহছনার উপর বকাবকি করিতে থাকে ঘটনার বিষয়ে থানায় অথবা আদালতে মামলা মোকদ্দমা করিলে মোহছনাকে খুন-খারাবী লাশ গুম করিবে মর্মে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি হুমকী ধমকী প্রদর্শন করে। মোহছনার নির্যাতন আর সহ্য করিতে না পারিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সুষ্ঠ ও ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় গত ২২/০৭/২০১৩ইং তারিখ পুলিশ সুপার বরাবরে স্বামীর ছুটুর এধরনের অমানবিক নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে একখানা আবেদন করেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আজাদ মিয়া মোহছনার আবেদনের বিষয়ের ব্যাপারে সুষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উখিয়া থানাকে নির্দেষ দেন। গত ২৮তারিখ বিকাল ২টা ২০মিনিটে উখিয়া থানা সেকেন্ড অফিসার কামরুল ইসলাম মোহছনার আবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থার জন্য মোহছনার কাছ থেকে জবানবন্দী গ্রহণের জন্য থানায় ডাকে। ওই দিন থানায় মোহছনা আক্তার সেকেন্ড অফিসার তার নির্যাতনের বিবরণ পেশ করে বিকাল ৫টায় নিজ বাড়ী পূর্ব মরিচ্যায় আসার মাঝ পথে কোট বাজার স্টেশনে সন্ত্রাসী ওবাইদুল কাদের ছুটু সশস্ত্র অবস্থায় মোহছনাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মোহছনা কাছে থাকা নগত ৬হাজার টাকা অর্ধ ভরি স্বর্ণের কানেরদুল, একটি মোবাইল সেট সহ এন.জি.ও’র প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্মিলিত ভর্তি ব্যাগ সহকারে ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে দারালো ছুরি দিয়ে মুখে মাথায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে আগত করে মুমুর্ষ অবস্থায় উখিয়ার দরগার বিল রাস্তার পার্শ্বে ফেলে চলে যায়। সংবাদ পেয়ে মোহছনার মা ও বোন রুবি দ্রুত গিয়ে ওই স্থান থেকে উদ্ধার করে ওই দিন রাতে মোহছনাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। গতকাল সোমবার দুপুরে খবর পেয়ে নারী শিশু সুরক্ষা নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা ও বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা উখিয়ার উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নুরুল আমিন সিদ্দিক তাকে হাসপাতালে দেখতে যান এবং তার সু-চিকিৎসা এবং দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন