উখিয়া অতিদরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর জন্য ২ কোটি টাকার বরাদ্দ

২৩টি প্রকল্পে কাগজ স্বর্বস্ব বাস্তবায়ন: তথ্য দিতে ইউএনওর অপরাগতা

বিশেষ প্রতিবেদকঃ উখিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সীমাহীন দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কারনে গেল অর্থবছরে সরকারি বরাদ্দকৃত প্রায় ২ কোটি টাকার কর্মসৃজন প্রকল্প কাগজ স্বর্বস্ব বাস্তবায়নে সিংহভাগ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে এলাকার সচেতন মহল অতিদরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী লুটপাটের জন্য ক্ষোভসহ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। 

প্রাপ্ত তথ্য জানা যায়, উখিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ২৩টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৫ জন কর্মকর্তাকে টেক অফিসার হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা হচ্ছেন রাজাপালং ইউনিয়নের টেক অফিসার এলজিইডির জামাল উদ্দিন, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের টেক অফিসার ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল কাশেম, পালংখালী ইউনিয়নে টেক অফিসার ও একটিবাড়ী  একটি খামার প্রকল্পের কর্মকর্তা করিম আহমদ, জালিয়াপালং ইউনিয়নের টেক অফিসার ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা কবির আহমদ এবং রতœাপালং ইউনিয়নের উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা রিসোর্চ অফিসার অসুক কুমার। বাস্তবায়নকৃত প্রকল্পের কাজ জনস্বর্থে সরজমিনে দেখার জন্য বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সিনিয়র সদস্য গতকাল উখিয়ায় গিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন জনে কাছ থেকে ওই কর্মসৃজন প্রকল্পে কাজ সম্পর্কে  জানতে চাইলে সকলের মুখ থেকে একই বাক্য উঠেছে যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে যোগসাজেসে গেল অর্থ বছরে ১কোটি ৮৫লক্ষ ৯২ হাজার টাকার বরাদ্দকৃত টাকার কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সব কাজ চেয়ারম্যার মেম্বারেরা ও তার লোকজন দিয়ে নিজের সুবিধা মতো বাড়ী ঘরে কাজ করিয়াছে। বাকী টাকা তাদের লোকজন দিয়ে মাষ্টাররোলে টিপ স্বাক্ষর দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন পূর্বক ভাগবাটোরার মাধ্যমে আত্মসাত করেছে। এ ব্যপারে উখিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার সাাইফুল ইসলাম ও  প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মফিউল আলমের সাথে মোবাইল ফোনে উক্ত প্রকল্পের বিষয়ে কিছু তথ্য চাইলে তারা তাৎক্ষণিকভাবে এই প্রতিবেদককে তথ্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মজিদের সাথে তার কার্যালয়ে যোগাযোগ এসে তিনিও উখিয়া উপজেলায় সম্প্রতি সমাপ্ত ২৩টি কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কে তথ্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন। তিনি এক বাক্য বলেছেন গত ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অতি দরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর সহায়ক প্রকল্পের বরাদ্দের জন্য সব টাকা প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আব্দু শুক্কুরস্বাক্ষরিত বরাদ্দপত্র ইউএনওর নামে ইস্যু করা হয়। তাই এ ব্যপারে আমার বলার ও জানার কিছু নেই। এ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলে এই প্রতিবেদককে ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেছেন।