কক্সবাজারে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের স্বপ্ন দেখিয়ে হতাশ করেছে বিসিবি

খেলাধুলা: কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম বাস্তবায়ন থেকে সরে এসে জেলাবাসীকে হতাশ করেছে বিসিবি। সৌজন্য রক্ষার্থে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের মাত্র ২টি ম্যাচ এখানে অনুষ্ঠিত হবে। তাও হবে সম্পূর্ণ অস্থায়ীভাবে। খেলা শেষ হলে আবার গুটিয়ে ফেলা হবে। গণমাধ্যমে এ খবর প্রচার হলে ক্ষোভ ও হতাশায় ফেটে পড়ে জেলাবাসী।
এটিকে ঠান্ডা মাথায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নামে সরকারি জমি দখলে নেয়া জন্য স্টেডিয়াম করছে না বলে মনে করছে জেলাবাসী ।
কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কথা বলে এখানে কাজ শুরু করে বিসিবি। মাঠ তৈররীর কাজও চলছিল পুরোদমে। কিন্তু হঠাৎ চূড়ান্ত সময়ে ঘোষণাটি শুনিয়ে জেলার ক্রিড়ামোদি জনগণকে হতাশায় ডুবিয়েছে বিসিবি। এর মধ্যদিয়ে কক্সবাজারবাসীর নৈতিক পরাজয় হয়েছে বলে মনে করছেন এখানকার লোকজন। দু’দিন আগে পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ থেকে ফিরে আসছে বিসিবি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিনিয়র সদস্য সাজ্জাদুল আলম ববি বলেন, গত কয়েকদিন আগে পর্যটন মন্ত্রণালয়, ক্রিকেট বোর্ড, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে উচ্চ পর্যায়ে প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২০১৪ সালের টি টুয়েন্টি মহিলা বিশ্বকাপের ২/৩টি খেলা সেখানে হতে পারে। এরপর মাঠের সব অস্থায়ী অবকাঠামো আবার খুলে ফেলা হবে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জসিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমরাও শুনেছি। এই ঘোষণার মাধ্যমে কক্সবাজারবাসীর নৈতিক পরাজয় হয়েছে। কক্সবাজারের মানুষের দীর্ঘদিনের আবেগ অনুভূতির সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও এ ধরনের বিপরীত ঘোষণা আসতে পারে সেখানে বলার ভাষা থাকেনা। তারা সব সময় আমাদের পরাধীন হিসেবে দেখতে চায়।
জেলার সিনিয়র সাংবাদিক প্রিতোষ পাল পিন্টু বলেন, যদি স্থায়ী এবং পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট স্টেডিয়াম না হয় তাহলে জেলাবাসীকে সাথে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় পর্যায়ে অবদান রাখতে পারে এমন ব্যক্তিত্বের বড় অভাব রয়েছে বলেও তিনি জানান।
সুত্র জানায়, ১২ জুন বুধবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বিশেষজ্ঞ দল টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য কক্সবাজার পর্যটনের গলফ কোর্সের ভেন্যুটি ঘুরে দেখেন। আইসিসি’র বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী আফ্রিকান ইউজেন ভ্যান ভুরেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ন্যাশনাল গ্রাউন্ডস ম্যানেজার আবদুল বাতেন, হোস্ট ডাইরেক্টর তানভির কামরুল ইসলাম ও জাহিদ রেজা বাবু।
এর আগে ২২ এপ্রিল আরো একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজারে সম্ভাব্য ভেন্যু পরিদর্শন করে গেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে আটটি দেশের অংশগ্রহণে মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কক্সবাজারে এর ভেন্যু নির্ধারণ হয়েছে। কক্সবাজার গলফ কোর্সে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে লিখিত অনুমোদন পাওয়ার পর শুরু হয় এ কাজ।