উখিয়া বিট কর্মকর্তার ইন্ধনে বনায়ন সম্পদ নিধনের মহোৎসব

স্টাফ রির্পোটার: উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হাজিম্মার রাস্তার মাথা সংলগ্ন হাঙ্গরঘোনা নামক স্থানে উখিয়া বনবিটের অধীনে বিট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে কাঠ পাচারের মহোৎসব চলছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে স্থানীয় পরিবেশবাদী মহলের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রক্ষক-যদি ভক্ষকের ভূমিকায় অবস্থান নেয় তাহলে এ দেশের বন সম্পদ রক্ষা করবে কে। জানা যায়, রাজাপালং ইউনিয়নের উখিয়ার বিট কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন সরকার ও কাঠ চোরের গড ফাদার প্রিয়দর্শী বড়–য়ার সাথে আতাঁত করে সামাজিক বনায়নের কাঠ বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় রাজাপালং ইউনিয়নের হাজিম্মার রাস্তার মাথা সংলগ্ন হাঙ্গরঘোনার আওতাধীন সৃজিত সামাজিক বনায়নের আকাশ মণি গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে সংঘবদ্ধ কাঠচোর সিন্ডিকেটরা। তাদের এ কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে সহযোগিতা করছে কতিপয় দূর্নীতিবাজ উখিয়ার বিট কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন সরকার। কাঠচোরদের সাথে একাধিক চুক্তির বিনিময়ে কাঠ চোর ও বিট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসে প্রতিনিয়ত সাবাড় হচ্ছে সামাজিক বনায়নের কাঠ। এছাড়াও বন উজাড়ের পাশাপাশি বন বিভাগের জায়গা বেচা-বিক্রির কাজও সমান তালে চলছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান। শুধু তাই নয় জমির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় বন বিভাগের বনভূমি দখলে নিতে নিরহ সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে তাদের বসত ভিটা কেড়ে নিচ্ছে বলে ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে অধিকাংশ ভূমিহীন পরিবারের সদস্যরা ভূমিদস্যু ও কাঠচোরদের কবল থেকে রক্ষা পেতে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। যার ফলে ভুমিদস্যু ও কাঠচোরেরা বন বিভাগের সাথে গোপন আতাঁতের মাধ্যমে অসহায় মানুষের বসত ভিটা কেড়ে নিয়ে তা আবার বড় লোকের নিকট বিক্রি করে দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। অথচ বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীও স্থানীয় প্রভাবশালী ভুমিদস্যু ও কাঠচোরদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত কোন আইনী ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। যার ফলে তারা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। 
উখিয়া বিট কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন সরকার কাঠ চোরদের সাথে আতাঁতের কথা অস্বীকার করে বলেন, হাজিম্মা রাস্তার মাথা সংলগ্ন এলাকায় কাঠ চোরের যে কাঠ কেটেছে তা জব্দ করা হয়েছে এবং অভিযোগ পাওয়া মাত্র কাঠ চোরদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।