আরাকান সড়কের বেহালদশা : ভাঙা রাস্তায় ডাকাতির আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ‘লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা সোবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন।’ আল্লাহু আকবরঃ আল্লাহু আকবর। উল্লিখিত বাক্যগুলো মৃত্যু পথযাত্রী কোনো রোগীর নয়। পর্যটন শহর কক্সবাজার থেকে টেকনাফ সড়কে যাতায়তকারীদের মুখ ফসকে বেরিয়ে আসে। বেহাল সড়ক, ডাকাতের উৎপাত ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ-কালভার্টের কারণে প্রতিদিন চলাচলরত হাজার হাজার যাত্রী ভয়ে হরদম
এসব দোয়া পাঠ করে মৃত্যু প্রস্তুতি নিয়ে যাতায়াত করেন। ৭৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত এবং ২৪টি নড়বড়ে সেতু-কালভার্ট ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে বসা ৪৫টির বেশি অবৈধ হাটবাজারের কারণে দুঘণ্টার পথ অতিক্রম করতে সময় লাগছে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা। শুধু তাই নয়, ঈদের আগে দেশের সড়ক মহাসড়ক সংস্কারে যোগাযোগ মন্ত্রীর গলা ফাটা চিৎকারেও কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গা রাস্তায় সংস্কার কাজ শুরু করেনি কর্তৃপক্ষ। কিছুদিন আগে কক্সবাজার পৌরসভাসহ জেলার বিভিন্ন সড়ক উপ সড়কে সংশ্লিষ্টরা টুকটাক কিছু কাজ করলেও সেখানে আগের চেয়ে বেশি ভগ্নদশা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে টেকনাফ কক্সবাজার মহাসড়ক ও চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কসহ জেলার প্রায় সব গুরুপূর্ণ সড়ক উপ সড়কগুলো এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় বেশ কিছু ব্রিজ কালভার্ট ঝুকিপূর্ণ থেকে চরম ঝুকিপূর্ণ আকার ধারণ করে যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়ে দাড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, খোদ পর্যটন শহর কক্সবাজারের ভিআইপি সড়ক খ্যাত সার্কিট হাউস রোড সহ সমস্ত পৌর এলাকায় রাস্তাঘাটসহ জেলার ভাঙ্গা রাস্তাগুলোতে যে অবস্থা বিরাজ করছে, তাতে মনে হয় ঈদের আগে আন্তমহাসড়কে ছিনতাই ও ডাকাতিকর্মে জড়িতদের খুব একটা বেশি কষ্ট করতে হবেনা। অন্যান্য বছরের মত এই বছর তাদের কোথাও ব্যারিকেড প্রয়োজন না হওয়ায় সহজেই তারা যানবাহন ঘিরে যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নিতে পারবে।
মৌসুমী এই সুযোগটি সবচেয়ে বেশি কাজে লাগাতে পারবে পর্যটন শহরের থানার পেছন রোড, সার্কিট হাউস রোড, রামু, বাইপাস সংলগ্ন সড়ক, টেকনাফের মিনা বাজার, হাসইন্যারটেক, হোয়াইক্যং শাপলাপুর সড়ক, উখিয়ার রাজা পালংয়ের আগে পরে রাস্তাসমূহে নিয়মিত ডাকাতি, ছিনতাই কর্মে জড়িতরা। কারণ উল্লেখিত এলাকাসমূহের সড়কগুলোতে এমন এমন গর্ত সৃষ্টি হয়েছে যা অতিক্রম করতে হলে যে কোন যানবাহনকে অবশ্যই গতিরোধ করে যেতে হবে।এঅবস্থায় সম্ভাব্য ডাকাতির আশংকায় উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এখন থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত উল্লেখিত সড়কগুলোতে নিয়মিত পুলিশ পাহারার পাশাপাশি অন্তত রাস্তার গর্তগুলো ভরাট করে দেয়া হোক।