পর্যটন শহরে কক্সবাজারে অসহনীয় যানজট আর দুর্ভোগ

এম.আমান উল্লাহ: অন্য সব দিনের জ্যামের সঙ্গে ঈদ মৌসুমের জ্যাম একটু ভিন্ন। এ জ্যাম শুরু হয় কক্সবাজার পৌর শহরের রুমালিয়ারছড়া থেকে, আর শেষ হয় মোটামুটি গন্তব্যে গিয়ে। এবারও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। শহরের বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রা শুরু করে শহীদ স্বরণী চৌরাস্তা পার হতেই সময় লাগে ২ ঘণ্টা। চালকদের আশঙ্কা, কাল বুধবার থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। গত কয়েক মাস লিংক রোড় থেকে কলাতলী,হলিডে মোড় পর্যন্ত হঠাৎ এ যানজট দেখা দেয়। ওই সব রোড়ে চলাচলকারী শহরের বিভিন্ন স্থানের বেশ কয়েকজন যাত্রী ও চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,
পৌর শহর থেকে বের হওয়ার সময় রুমালিয়ারছড়া,কালুর দোকান,বার্মিজ মার্কেট,বাজার ঘাটা ও লালদিঘীর পাড় থেকে শহীদ স্বরণী র্পযন্ত কমপে ছয়টি স্থানে এবং গাড়ী ঢোকার আটটি স্থানে জ্যামে পড়তে হয়। কোথাও সড়কের দুরবস্থা, কোথাও চালকদের নিয়ম না মানা আবার কখনো কখনো ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা যানজটের অন্যতম কারণ বলে অভিযোগ রয়েছে। একাধিক চালকেরা বলেন, টার্মিনাল থেকে শহরে প্রবেশ পর্যন্ত সময় লাগে দুই ঘণ্টা। রুমালিয়ারছড়া,কালুর দোকান,বার্মিজ মার্কেট ও লাল দিঘী পার হতে সময় লাগে এক ঘণ্টা। ওই সব গন্তব্যের চালক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, কেবল ট্রাফিক পুলিশ দিয়ে কাজ হবে না। যানজট থেকে বাঁচতে হলে চার লেনের রাস্তা লাগবে । আবার রিকশা, ভ্যান, টেম্পো, ভটভটি ও একই রাস্তায় তুলে দেবেন, জ্যাম তো হবেই। এই সোজা কথাটা বোঝার জন্য জ্ঞানী হওয়ার দরকার নাই। পুলিশসহ স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কালুর দোকান,বামির্জ মার্কেট রোডের যানজটের অন্যতম কারণ রিক্সা ও টমটমের অদক্ষ চালক। এ ছাড়া গন্তব্যে চলাচলকারী যাত্রীবাহী গাড়ীগুলো বেপরোয়া চলাচল ও রোডের যানবাহন পাস করতে গিয়ে ও যানজট তৈরি করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই এলাকার ট্রাফিক পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, টার্মিনাল থেকে শহীদ স্বরণী চৌরাস্তা পর্যন্ত যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে ২ জন সার্জেন্ট, ৪ জন হাবিলদার, ১০ জন কনস্টেবল দরকার। কিন্তু আছে মাত্র একজন সার্জেন্ট ও দুজন কনস্টেবল। ফলে একদিকে নজর দিলে অন্যদিকে যানজট লেগে যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন