মাজহার আলী : নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাই ও
মনোনয়নের কাজ
শুরু করে
দিয়েছে ক্ষমতাসীন
দল আওয়ামীলীগ। তৃণমূল
পর্যায়ের নেতাদের
সাথে বৈঠকে
প্রার্থীর কয়েকটি যোগ্যতা ও দলের
প্রতি তার
আনুগত্য এবং
এলাকায় অবস্থানের
বিষয়গুলো তুলে
ধরে ১০০
নাম্বারের ফরম পুরণ করে তা
সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর
হাতে তুলে
দিতে শুরু
করেছেন তৃণমূল
নেতারা।
এভাবে পর্যায়ক্রমে
দেশের সব
জেলার তৃণমূল
নেতাদের থেকে
মতামত গ্রহণ
করে প্রার্থী
নির্বাচন করবে
আওয়ামীলীগ।
জাতীয় পার্টিও
কোন ঘোষণা
ছাড়াই সম্ভাব্য
প্রার্থীর একটি হিসাব নিকাশ শুরু
করেছে আরো
আগে।
আর জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া ও দলটির নিবন্ধন বাতিলের জন্য নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই খুব কঠিন হয়ে পড়লেও দলটির নির্বাচনী প্রস্তুতি রয়েছে অনেকটা সংগোপনে।
আর জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া ও দলটির নিবন্ধন বাতিলের জন্য নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই খুব কঠিন হয়ে পড়লেও দলটির নির্বাচনী প্রস্তুতি রয়েছে অনেকটা সংগোপনে।
তবে তত্ত্বাবধায়ক ইস্যূতে
প্রধান বিরোধী
দল বিএনপি
সরকারের সাথে
দর কষাকষির
কাজ চালিয়ে
গেলেও তাদের
অনেক নেতা
এলাকায় জনসংযোগ
করে যাচ্ছেন।
নির্বাচনের মাস কয়েক
বাকি থাকলেও
অন্যান্য বারের
মত এলাকায়
নেই জনসংযোগ
ও পোস্টার
ব্যানারের প্রতিযোগিতা। প্রেস ব্যবসায়ীরা
বলছেন, যে
কোন নির্বাচনের
আগে সম্ভাব্য
প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে এলাকায় পোস্টার
ব্যানারের যে প্রতিযোগিতা দেখা গেছে
এবার নির্বাচনের
সময় খুব
কাছাকাছি চলে
এলেও তা
দেখা যাচেছ
না।
ঢাকার নীলক্ষেত এলাকার
প্রেস ব্যবসায়ী
আমিনুল ইসলাম
জানান, নির্বাচনের
ছয়মাস আগে
থেকেই কাজের
চাপ বেড়ে
যায়।
এসময় অনেকে
তাদের কাজের
জন্য প্রেসের
সাথে চুক্তিবদ্ধ
হয়ে থাকে। কিন্তু
এখন পর্যšত্ম জাতীয়
নির্বাচনের জন্য কেউ চুক্তিবদ্ধ হয়
নি।
এছাড়া এলাকায়
শুভেচ্ছা জানিয়ে
কোন পোস্টারের
কাজও করা
হয় নি। তবে
তিনি বলেন,
এখন সব
জেলা শহরে
ভালো প্রিন্টিং
মেশিন থাকায়
ঢাকার বাইরের
এখন কম
কাজ করানো
হয়।
প্রেস ব্যবসায়ী রুহুল
আমিন বলেন,
নির্বাচনী মওসুমে কাজ পাওয়ার জন্য
অনেক প্রেস
মালিক প্রত্যšত্ম এলাকায়
সম্ভাব্য প্রার্থীদের
সাথে যোগাযোগ
করেন।
এবারও অনেক
এলাকায় যোগাযোগ
করা হয়েছে। কিন্তু
নির্বাচন হবে
কী হবে
না তা
নিয়ে সংশয়
থাকায় তারা
এখনো পোস্টারিং
করার সিদ্ধাšত্ম নেয়
নি।
তিনি বলেন,
ইউনিয়ন পরিষদ
নির্বাচন ও
জাতীয় নির্বাচন
প্রেস মালিকদের
বড় ব্যবসার
সময়।
কিন্তু নির্বাচন
নিয়ে সরকার
ও বিরোধীদলের
মাঝে সমঝোতা
না হওয়ায়
এবার ব্যবসা
খারাপ হওয়ার
সম্ভাবনা রয়েছে।
একজন প্রেস মালিক
জানান, যদি
বিরোধীদল নির্বাচনে
অংশ না
নেয় তাহলে
সরকার দলীয়
প্রার্থীদের খরচ কম হবে। নির্বাচনে তাদের
শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী
না থাকায়
পোস্টার ও
জনসংযোগ কম
করে জয়
লাভ করতে
পারবে এমন
ধারণা থাকায়
সরকার দলীয়
প্রার্থীরাও পোস্টার কম করছেন।
তবে যেসব
এলাকায় বিএনপি
ছাড়া অন্য
কোন দলের
শক্ত প্রার্থী
রয়েছে সেসব
এলাকা প্রার্থীদের
শুভেচ্ছা জানিয়ে
পোস্টার ব্যানারে
ছেয়ে গেছে। নির্বাচনকে
কেন্দ্র করে
ঢাকার প্রেসের
ব্যবসা কমে
গেছে বলে
জানিয়েছেন অধিকাংশ ব্যবসায়ী।
ময়মনসিংহের রুবী প্রেসের মালিক শাহিন ইসলাম জানিয়েছেন, জেলা পর্যায়ে ভালো মেশিন ও দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার থাকায় এখন মানুষ ঢাকায় কাজ করাতে চায় না। এছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে প্রেস মালিকদের সাথে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যক্তিগত পরিচয় থাকায় তারাও পোস্টার ব্যানারের কাজ ঢাকা না করিয়ে পরিচিতদের দিয়েই করিয়ে থাকেন। তিনিও জানালেন নির্বাচনের দুই/তিন মাস বাকি থাকলেও এখনো নির্বাচনের তেমন কাজ আসেনি। তিনি বলেন, ময়মনসিংহের ১২টি আসন আওয়ামীলীগের দখলে থাকায় এবং সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ একমাত্র বিএনপি হওয়ায় এলাকায় তেমন কোন নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয় নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন