৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত, উপকূলজুড়ে প্রস্তুতি



নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় পাইলিন সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে পশ্চিম মধ্য-বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। 
এর প্রভাবে কক্সবাজারসহ চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকা জুড়ে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও কোনো কোনো স্থানে হালকা ধরনের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকা আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ সানাউল হক বাংলানিউজকে জানান, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় পাইলিন বিকেল ৪টায় কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ধমকা বাতাস-ঝড়ো হাওয়ার বিরাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে। 

ঘূর্ণি বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার হতেপারে। একই সঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় পাইলিন বঙ্গোপসাগর অতিক্রম করে ভারতের উড়িষ্যা ও দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অন্ধ্র প্রদেশে ঘণ্টার ২১০ থেকে ২৩০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানাতে পারে বলেও জানান তিনি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। 

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। 

এদিকে সতর্কতা সংকেত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কক্সবাজারের উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 

বিভিন্ন স্থানে রেডক্রিসেন্ট কর্মীরা সিগন্যাল সম্বলিত পতাকা তুলে দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও ট্রলার মালিক সমিতিগুলোর মাধ্যমে লোকজনকে সর্তক করতে মাছ ধরার ট্রলার গুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদে থাকতে অনুরোধ করেছে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন