সেন্টমার্টিনের পর্যটকবাহী জাহাজ এখন টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে যাতায়ত করবে, বিপাকে জাহাজ কর্তৃপক্ষ

টেকনাফ প্রতিনিধি: টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া দিয়ে যাতায়তকারী সেন্টমার্টিনের পর্যটকবাহী জাহাজ টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে যাতায়তের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ফলে বিপাকে পড়েছে জাহাজ কর্তৃপক্ষ। জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে টেকনাফ স্থল বন্দরের অভ্যান্তর দিয়ে যাতায়ত, ইমিগ্রেশনের পরিত্যাক্ত অফিস ব্যবহার, একটি পরিত্যাক্ত পল্টুন ব্যবহার করা খুবই সমস্যয় পড়তে হবে। এছাড়া বন্দর চার্জ, পর্যটকদের বিশ্রামাগার, টয়লেট, টিকিট কাউন্টার, একই সময়ে ৫ টি জাহাজ, একই সময়ে একটি সরু পল্টুন ব্যবহার করা খুবই দুস্কর হয়ে পড়বে।

জেলা প্রশাসন কোন তদন্ত ছাড়া নির্দেশ প্রদান করেছে। বর্তমানে কেয়ারী সিন্দবাদ, কেয়ারী এলসিটি কুতুবদিয়া, ফারহানা ক্রুজ, কেয়ারী ক্রুজ ও ফারহানা জাহাজ নিয়মিত চলাচল করছে। উক্ত জাহাজ সমূহে প্রতিদিন ৫ হতে ৭ হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যাতায়ত করে থাকে। সকাল সাড়ে নয়টায় যাত্রীপূর্ণ করে ৫ টি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্যেশে টেকনাফ ছেড়ে যায়। আবার একই দিনে বিকাল ৩ টায় সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফের উদ্যেশে রওনা করে। এভাবে দীর্ঘদিন জাহাজ চলে আসলেও প্রশাসনের পক্ষথেকে জাহাজ যাতায়ত, নোঙর ও জেটির জন্য কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে জাহাজ কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অর্থায়নে দমদমিয়া নামক স্থানে অস্থায়ী জেটি, পল্টুন, টয়লেট, বিশ্রামাগার ও ক্যান্টিন তৈরি করে পর্যটকদের সেন্টমার্টিনে নিয়মিত যাতয়ত করছে। এ খাতে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করছে। হঠাৎ এদেরকে কোন নির্দিষ্ট স্থান না দিয়ে বন্দর দিয়ে যাতায়তের নির্দেশ দেওয়ায় হতবাক হয়েছেন জাহাজ কর্তৃপক্ষ। এদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, বন্দর দিয়ে পর্যটকেরা যাতায়ত করলে সরকার প্রচুর পরিমানে রাজস্ব পাবে। এছাড়া তাদের যে অভিযোগ গুলো আমরা ক্রমান্নয়ে সমাধান করব।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন