সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা যায়, উত্তর ২৪ পরগনার শমশেরনগরে রয়েছে একটি বর্ডার আউটপোস্ট যার দেখাশোনা করে বিএসএফ। যদিও এই আউটপোস্ট মূলত ‘ল্যান্ড আউটপোস্ট’। এই এলাকা থেকে বঙ্গোপসাগর হয়ে যে নদীপথ রয়েছে সেখানে তিনটি ভাসমান আউটপোস্ট রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে নজরদারি চালায় বিএসএফ। একাধিক বাংলাদেশি জলযান প্রতিদিন এই পথ ধরেই ভারতে আসে। প্রথমে জলযানগুলো তল্লাশি করা হয় হেমনগর এলাকায়। তারপর নদীপথে সুন্দরবন হয়ে জলযানগুলো চলে যায় নামখানা বা কলকাতার দিকে। আগে তল্লাশি করা হতো নামখানায়। বিগত বছর থেকে সেই তল্লাশি হচ্ছে হেমনগরে। এর পরেও দেখা যাচ্ছে, বিস্তীর্ণ অংশ অরক্ষিত রয়েছে।
নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট অভিযোগে বলা হচ্ছে, হেমনগরে কাগজপত্র তল্লাশি চালানো হলেও তাতে ফাঁক থেকে যাচ্ছে। কী রকম ফাঁক? এক সেনা কর্মকর্তা জানান, জলযানে প্রতিটি কোণ পরীক্ষা করা হয় না। কাগজপত্র দেখা হয়। কিন্তু সত্যিই কী উদ্দেশ্যে এই জলযানের ভারতের জলপথে আসা তার উত্তর মেলে না। এ থেকে নৌবাহিনী আশঙ্কা করছে, কোনও জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা অবাধেই বিস্ফোরক নিয়ে প্রবেশ করতে পারে। অপরদিকে, এই সমস্ত জলযান একাধিক জায়গায় অপেক্ষা করে। বিশেষ করে রাতের বেলা জলযানগুলোতে কারা যাতায়াত করছে তা জানা যায় না। পাড়ের গ্রামগুলো থেকে কারা যাতায়াত করছে তাও জানা যায় না। অভিযোগ উঠেছে, ছোট ছোট ডিঙি নৌকা নিয়ে একাধিক মানুষ সেই বাংলাদেশি জলযানের আশেপাশে যাতায়াত করে। মুম্বাই হামলার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এই ডিঙি নৌকার ব্যাপারে সচেতন হতে চাইছে নৌ কর্তৃপক্ষ। বাংলামেইল২৪
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন