বৈধ ব্যবসায় সম্পদ বাড়লে ষড়যন্ত্রকারীদের বিদ্বেষ কেন -এমপি বদি

আমাদের সময় ডটকম: বৈধ ব্যবসায় ৩শ’ ৫১ গুন কেন কারো হাজার গুন সম্পদ বাড়লেও ষড়যন্ত্রকারীদের এত বিদ্বেষ কেন? আর কোন কিছু যাছাই-বাছাই না করে প্রথম আলোসহ শীর্ষ গণমাধ্যমগুলো কিভাবে এমন সংবাদ পরিবেশন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করে? সাংবাদিকতার মতো মহান দায়িত্বশীল পেশাতো এমন হওয়ার কথা ছিলনা! কথা ছিল দেশ ও জাতির কল্যাণে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমে হবে দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালন নির্ভর দায়িত্বশীল একটি মহান পেশা। তবে কেন প্রতিপক্ষ অপরাজনীতিবিদদের ষড়যন্ত্রের মতো অপ-সাংবাদিকতার নিমর্ম ছোবলে আক্রান্ত হয়ে আমরা আজ নিজেদের ব্যক্তিসত্ত্বা বিসর্জন দিচ্ছি? জাতির কাছে সেই প্রশ্ন রেখে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা প্রত্যাশা করেছেন উখিয়া-টেকনাফ থেকে পরপর দু’বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি।

প্রতিবেদকের সাথে মুঠোফোন আলাপে তিনি নির্বাচনের আগে প্রথম আলোসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে নিজের বৈধ সহায়-সম্পত্তিকে অবৈধ বলে প্রকাশিত সংবাদকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্ভট ও বানোয়াট দাবি করে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও শপথের জন্য ব্যস্ত থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে তিনি এনিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে পারিনি। তাই বিলম্ব হলেও এমপি বদি তার নির্বাচনী এলাকার সম্মানিত জনগণ ও জাতির উদ্দেশ্যে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদগুলো দেশের অন্য দশজন সাধারণ নাগরিকের মতো আমাকে মর্মাহত করেছে। তাই বিষয়টি পরিস্কার করা জরুরী বলে মন্তব্য করে এমপি আবদুর রহমান বদি আরো বলেন, আমার যেসব সহায় সম্পত্তি আছে, তার এক বালুকণাও যদি কেউ অবৈধ উপায়ে অর্জিত বলে প্রমাণ করতে পারেন, আমি কথা দিচ্ছি স্বেচ্ছায় জাতীয় সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করবো।
মূলতঃ যেসব সহায়-সম্পদের মালিক স্রষ্টা আমাকে করেছেন তার সবটুকুই আমার বৈধ উর্পাজন হালাল ব্যবসা দিয়ে। এজন্য আমি রাষ্ট্রকে উপযুক্ত রাজস্ব দিয়ে দেশের সাংসদের ইতিহাসে একজন কর্মাশিয়াল ইনপটেন্ট পারসেন্ট (সিআইপি) ও মনোনীত হয়েছি। শুধু আমি নয়, আমার পরিবারে একজন ছোট ভাইও সিআইপি মনোনীত হয়েছে। কারো করুনায় নয়, বৈধ ব্যবসা করে রাষ্ট্রকে উপযুক্ত ট্যাস্ক দিয়ে আমরা প্রতিদিন নিজেরা যেমন স্বনির্ভর হচ্ছি, অন্যদিকে দেশ ও জাতিকেও স্বনির্ভর করছি।
কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে, গণমাধ্যমের মতো পবিত্র পেশায় জড়িত সাংবাদিক ভাইয়েরা আজ সেই পরম সত্যকে আড়াল করে আমিসহ দেশের অনেক বৈধ ব্যবসায়ীদের হেনেস্তা করে ছাড়ছেন। তাই এমপি বদি সকল গণমাধ্যমের কাছ থেকে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার প্রত্যাশা করে বলেন, সাংবাদিকতা মানে কাউকে উদ্দেশ্যমূলক নাজেহাল কিংবা শৃষ্টের দমন আর দুষ্টের পালন নয়। সাংবাদিকতা মানে বৈধ ব্যবসায়ীসহ সকল মানুষকে ভাল কাজে উৎসাহিত করা। এতে করে রাষ্ট্রকে দেওয়া গণমাধ্যমের প্রতিশ্রুতির যেমন বাস্তবায়ন ঘটে, ঠিক তেমনি ভাবে দেশ ও মানুষ এগিয়ে যান। কাজেই এমপি বদি গণমাধ্যম সমূহের কাছ থেকে ইতিবাচক সাংবাদিকতা প্রত্যাশা করে তার ব্যাপারে ইতিপূর্বে প্রকাশিত সকল মিথ্যা সংবাদে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে দুদকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে আরো বলেন, সরকারী দলের এমপি হয়ে আমি এমন কোন অপরাধ করিনি যে, যার কারনে ব্যবসা-বাণিজ্যও করতে পারব না। এমপি বদি বলেন, নির্বাচনী এলাকার জনগণের স্বতস্ফূর্ত সাড়ায় এমপি হওয়ার পর থেকে আমি কোন প্রকার চাঁদাবাজি ও চুরি-ডাকাতি করে নয়, বরং মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বৈধ ব্যবসা করে যে সম্পদের মালিক হয়েছি আপনারা তদন্ত করে দেখুন, তার চুল পরিমাণও যদি অবৈধ প্রমাণ করতে পারেন দেশের প্রচলিত আইনে উপযুক্ত শাস্তি মাথা পেতে নেব। তবে রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে একটিই মাত্র আবেদন আমার সংশ্লিষ্টদের কাছে থাকবে আমার বৈধ সম্পদকে যারা অবৈধ হিসেবে উল্লেখ করে নানা অপপ্রচারসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় এমপি বদি ভবিষ্যতে এমন মিথ্যা ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে প্রয়োজনে আদালতে যাবেন বলেও হুশিয়ারী দেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন