সোনাক্ষির ৯০ কেজি থেকে ৬০ কেজিতে আসার গল্প

ডেস্ক রিপোর্ট: আগে ছিলেন ৯০ কেজির গোলগাল তরুণী। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পিত্জা, বার্গার বলতে যে মেয়ে ছিলেন অজ্ঞান। ব্যায়ামের নামে যাঁর চোখেমুখে নেমে আসত অমাবস্যার অন্ধকার ৷চর্বির স্তূপে আঁটত না প্রিয় পোশাকও। সেই মেয়েই বদলে গেলনে রাতারাতি। মাত্র কয়েক মাসেই তিনি পরিণত হলো টিনসেল টাউনের লেটেস্ট সেনসেশনে। কুতসিত তকমা ঝেড়ে ফেলে দাবাং-গার্ল সোনাক্ষি সিনহা এখন আক্ষরিক অর্থেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বলিউডে। ‘রাউডি রাঠোর', ‘লুটেরা', থেকে ‘আর রাজকুমার', সোনাক্ষি যে ছবিতেই হাত দিচ্ছেন, সফলতার দেখা পেয়েছেন। এমনকি আইটেম নাচেও তাঁর ক্ষণিকের উপস্থিতিও আলাদা করে নজর কাড়ছে দর্শকদের। কিন্তু কিভাবে ৯০ কেজি থেকে ৬০ কেজিতে এলেন সোনাক্ষি? কীভাবেই বা এত তাড়াতাড়ি এতটা ওজন কমানোর পরও লালিত্য ধরে রেখেছেন তিনি? খোলসা করলেন অভিনেত্রীর ট্রেনার ইয়াসমিন করাচিওয়ালা। একটি সাক্ষাত্কারে ইয়াসমিন জানিয়েছেন, দাবাং-এর অফার পাওয়ার পরই ওজন কমাতে শুরু করে সোনা। কার্ডিও এবং ওয়েট ট্রেনিং ছাড়াও চলত সাইক্লিং করা, টেনিস খেলা, সাঁতার কাটার মতো শারীরিক পরিশ্রমজনিত একাধিক কসরত৷ সপ্তাহে তিনদিন হট যোগও করতো। প্রথম প্রথম দিনে দু'বার করে ওয়ার্ক আউট করলেও পরে সপ্তাহে চার-পাঁচ দিন অন্তত দেড়ঘণ্টা জিমে ওজন ঝরাত সোনা। এখনও এই সব নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন অভিনেত্রী। 
শারীরিক পরিশ্রমের পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ মেনে চলেন শটগান-কন্যা। খেতে বড় ভালোবাসেন তিনি ৷কিন্তু ওজন ঠিক রাখতে মেপে খান তিনি ৷সোনাক্ষির ডায়েটে মূলত হাই-প্রোটিন খাদ্য যেমন ডাল, মাছ, মুরগির মাংসই বেশি থাকে ৷শর্করাজাতীয় খাদ্য কম খান তিনি ৷এর পাশাপাশি দিনে একাধিকবার গ্রিন টি পান করেন। সঙ্গে প্রচুর জল ৷একেবারে বেশি না খেয়ে তিন ঘণ্টা অন্তর অল্প পরিমাণে আহার করেন সোনাক্ষি। রাতের খাবারও খুব তাড়াতাড়ি খেয়ে নেন। সন্ধ্যা ৬টার পর কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার তাঁর কাছে নিষিদ্ধ। তাহলে এবার সোনাক্ষির মতো লাবণ্যময়ী অথচ ‘হেলদিলি ফিট' হতে চাইলে অক্ষরে অক্ষরে পালন করুন তাঁর টিপস।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন