ছৈয়দ মোস্তফা আলী, মহেশখালী
মহেশখালীতে এইচএসসি পরীক্ষার্থী উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে। গতকাল দুপুর ১২টায় মহেশখালী পৌর এলাকার গোরকঘাটা লামার বাজারের জৈনক সাবেক পৌর কাউন্সিলর এর মালিকাধিন আবাসিক হোটেলের ২য় তলায় এই ঘটনাটি ঘটে। এদিকে এ পর্যন্ত ওই আক্রান্ত হওয়া পরীক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর বলে ডাক্তারা জানিয়েছেন।
সুত্র জানায়, মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের মুক্তার আহমদের পুত্র ও মহেশখালী ডিগ্রি কলেজের চলিত এইচএসসি ব্যবসা শিক্ষা শাখার পরীক্ষার্থী মিজানুর রহমান। বিগত ২ বছর ধরে জৈনক রশিদ কোং হোস্টেলের ২য় তলায় একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে আসছিল। গতকাল দুপুরে জুমার নামাজ আদায় করতে গোসল করার জন্য রুমে পর্যাপ্ত পানি না থাকলে তিনি বিষয়টি হোস্টেলের নিচ তলায় থাকা দায়িত্বরত থাকা মেসিনারী পার্টসের দোকানের কর্মচারী স্থানীয় সিকদার পাড়ার বেলাল আহমদের পুত্র আব্দুল আজিজকে বলতে গেলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কিছু বুঝে উঠার আগে মারপিঠ করে মারাত্মক ভাবে আহত করে। সে এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে আশাপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মুমুর্ষ অবস্থায় মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কতব্যরত ডাক্তার তার প্রচুর রক্তক্ষরন হওয়ায় কারনে কক্সবাজারর সদর হাসাপাতালে প্রেরন করে। এদিকে এই ঘটনাকে ভিন্ন হাতে প্রভাহিত করার জন্য ওই হোস্টেলের মালিকের পক্ষ হয়ে স্থানীয় একটি চক্র মোটা অংকের টাকা নিয়ে ওই ছাত্রের অভিবাবকদের হুমকি ধুমকি দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করার পায়তারা চালিয়ে যাুেছ। এদিকে হামলার পর হামলাকারী আজিজ পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে আহত ছাত্র এর দুলা ভাই আব্দু সাত্তার জানান, এখন আহত মিজানুর রহমানের অবস্থায় সংকঠপন্ন তার আরো ৩টি পরীক্ষা বাকী রয়েছে। এই ঘটনার জন্য তার জীবনের ২টি বছর হারিয়ে যাবে। তার বৃদ্ধ পিতা মাতার পক্ষে তাকে পুনরায় লেখাপড়া করার সামর্থ নেই। এই নৃসংষ ঘটনার সুষ্টু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য আমি প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ প্রসঙ্গে মহেশখালী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন বলেন, আমার কলেজের মেধাবী ছাত্র মিজানুর রহমানে উপর হামলা কারীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী জানাচ্ছি। মহেশখালী ডিগ্রী কলেজের মেধাবী ছাত্র জেকীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যারা এই ছাত্রের উপর বরবরোচিত হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সমস্ত ছাত্রদের নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এব্যাপারে মহেশখালী থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, মহেশখালী ডিগ্রি কলেজ ছাত্র, এইচএসসি পরীক্ষার্থী আহত হওয়ার বিষয়টি শুনেছি অভিযোগ পাওয়া গেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন