প্রবল জোয়ারে মহেশখালীর বেড়ীবাধ ভেঙ্গে শত শত ঘরবাড়ী প্লাবিত

নিজস্ব প্রতিনিধি
মুষলধারে বৃষ্টি, সাগরের প্রবল জোয়ারে মহেশখালীর বেড়ীবাধ ভেঙ্গে শত শত ঘরবাড়ী প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। প্লাবিত অঞ্চলে পরিদর্শনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা পরিস্থিতি সামাল দিতে গেছেন। গত ৩০মে প্রবল বাতাস মুষলধারে বৃষ্টিতে বেড়ীবাধ ভেঙ্গে মহেশখালীর বিভিন্ন স্থানে সাগরের জোয়ারের পানিতে শত শত ঘরবাড়ী বাড়ী পানিতে ভাসছে। মানুষ গৃহহীন হয়ে অনত্র আশ্রয় নিয়েছে।
সকাল ১০ টায় মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ঘরবাড়ী জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার ঘটনা জানাইলে তৎক্ষাণিক মহেশখালী উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু বক্কর ছিদ্দিক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আনোয়ারুল নাসের মাতারবাড়ী, ধলঘাটা এলাকায় গাড়ী যোগে অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ সরকারি কর্মকর্তারা পরিদর্শনে যান। এতে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী জানা যায়, ধলঘাটা পুরা ইউনিয়নে বেড়ীবাধ ভেঙ্গে শত শত ঘরবাড়ী জোয়ারের পানিতে ডুবিয়া গেছে। মাতারবাড়ী বেড়ীবাধ ভেঙ্গে বহু জায়গায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করে ঘরবাড়ী ও অন্যান্য ব্যাপক ক্ষতি হয়। ধলঘাটা মানুষের আজাহারিতে আকাশ বাতাস ভারী হচ্ছে। এদিকে কুতুবজোম ইউনিয়নের উত্তরে ও বড় মহেশখালী ইউনিয়নের পশ্চিমে বেড়ীবাধ ভেঙ্গে জোয়ারের পানি ঢুকেছে। বেড়ীবাধটি ভেঙ্গেছে ভোলখালী নামক সিলেটি ব্রীজের পার্শ্বে। এই বেড়ীবাধ জরুরীভাবে সংস্কার না করলে বড় মহেশখালীর নি¤œাঞ্চলের ও কুতুবজোম ইউনিয়নের শত শত ঘরবাড়ী ধ্বংস হয়ে জোয়ারের পানিতে ভাসবে। এদিকে চিংড়ীঘের ভেঙ্গে জোয়ারের পানি ঢুকে চিংড়ীচাষীদের লক্ষ লক্ষ টাকার চিংড়ী পোনা জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। ছোট ছোট ঘরবাড়ী প্রবল বাতাস মুষলধারে বৃষ্টিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়েছে। এদিকে পশ্চিম ফকিরাঘোনা বড় মহেশখালী নৌকা মালিক সমিতির সভাপতি ও আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ শফি জানান, ভোলখালীর সিলেটি ব্রীজে পাশে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়ীবাধ যদি জরুরীভাবে মেরামত করা না হয় তাহলে বড় মহেশখালী-কুতুবজোম ইউনিয়নের হাজার হাজার ঘরবাড়ী জোয়ারের পানিতে ভাসবে। উপজেলা প্রশাসন প্লাবিত পরিবারদের ত্রাণ, মানবিক সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং তাদেরকে সাহস যোগান। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন