ঈদের পর তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচনের আশা খালেদার

বাংলানিউজ: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ঈদের পরে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হল প্রাঙ্গনে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। এর আয়োজন করে
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ নামের একটি সংগঠন।

এতে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘আপনারা জানেন, দেশের মানুষের কী অবস্থা। সরকার জানে, নির্বাচন দিলে তারা পরাজিত হবে। তাই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে চায়।’ ইফতারের কিছুক্ষণ আগে (সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা) তিনি মাহফিলে উপস্থিত হন।

ইফতারে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিরাও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। বিকল্পধারা’র চেয়ারম্যান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘তারা বলছে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের সময়ও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। কোনো সরকারি কর্মচারির ঘাড়ে কি দশটা মাথা আছে যে, তার কথার অবাধ্য হবেন?’ তিনি বলেন, এভাবে কোনো নির্বাচন দেশে হতে দেওয়া হবে না।

বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে মূল মঞ্চে ইফতারে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গণি, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম এ মাজেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মিয়া, মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, মাহফিলের আহ্বায়ক চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেশ সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব শওকত মাহমুদ, ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি ডা. একেএম আজিজুল হক, ড্যাব সদস্য সচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ইউট্যাব সভাপতি আফম ইউসূফ হায়দার, মহাসচিব তাহমিনা আক্তার টফি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. খন্দকার মোস্তাহিদুর রহমান, এমবিএ সভাপতি সৈয়দ আলমগীর, এমবিএ মহাসচিব শাকিল আক্তার, এ্যাব সভাপতি কৃষিবিদ আনোয়ারুন্নবী বাবলা, ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশিদ, কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, শিক্ষক কর্মচারি ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন