জাহাঙ্গীর আলম
টেকনাফের হোয়াইক্যং
ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে একটি বাল্য বিবাহ নিয়ে তোলপাড় চলছে । বাল্য বিয়ের এই ঘটনা ঘটেছে
গতকাল বৃহস্পতিবার ৪ জুলাই বিকালে । সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার, কাজী ও ইউপি
চেয়ারম্যন তাঁদের দায়-দায়িত্ব অস্বীকার করেছেন । কনে হচ্ছে- হোয়াইক্যং ্ইউনিয়নের বালুখালী গ্রামের
বদরজ্জামানের কন্যা মনোয়ারা বেগম (১৫),
আর বর হচ্ছে পাশাপাশি গ্রাম কোনাপাড়ার মোঃ ছালামের
পুত্র জাহাঙ্গীর (১৬) । বর জাহাঙ্গীর ও তার অভিভাবকদের অভিযোগ- ৩ জুলাই সন্ধায় তাকে
রাস্তা থেকে জোরপুর্বক মেয়ের আতœীয়-স্বজনরা ধরে নিয়ে গিয়ে রাতভর আটকে রাখে । ৪ জুলাই বিকালে
কান্জরপাড়া থেকে কাজী ডেকে এনে কাবিন সম্পাদন ও বিয়ে পড়িয়ে দেওয়া হয় । বর জাহাঙ্গীরের
জেঠা গ্রাম পুলিশ আবু ছিদ্দিক জানান- তার ভ্রাতুষ্পুত্র জাহাঙ্গীরকে আটকে রাখার খবর
পেয়ে সে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে এই অসম বিয়ে বন্ধ করতে অনেক অনুনয়-বিনয়
করেছিল, কিন্ত তারা তাতে কর্ণপাত করেনি । তিনি আরও জানান-মনোয়ারার
পিতা বদরজ্জামান ডাকাতি মামলায় আসামী হয়ে গত দশ বছর ধরে টেকনাফে অবস্থান করছে। তার মেয়ে মনোয়ারা বেগম গত ১ মাস আগে চাচা নুরুজ্জামানের
বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। মনোয়ারার বয়স বড় জোর
১৫ এবং জাহাঙ্গীরের বয়স ১৬ বছরের বেশী হবেনা। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার
মোস্তফা কামাল চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে
আমি কিছু জানিনা। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের কাবিন সম্পাদন ও বিয়ে পড়িয়ে দেয়ার কারণ জানতে চাইলে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত বিবাহ ও তালাক
রেজিস্টার (কাজী) আকতার কামাল নুরী বলেন, আমি বর্তমানে জরুরী কাজে কক্সবাাজারে অবস্থান
করছি, আমার কেরানী এ ধরনের আইন বিরুধী কাজ করেছে কিনা আমার জানা নেই। আমি অফিসে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। এ দিকে
কনের বয়স ১৯ করে একটি জন্ম নিবন্ধন সনদ আনা হয়েছে বলে জানা গেছে, তবে বরের কোন জন্ম নিবন্ধন সনদ আনা হয়নি। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বয়স
বাড়িয়ে দিয়ে জন্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যু বিষয়ে জানতে চাইলে হোয়াইক্যং মডেল ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাও. নুর আহমদ আনোয়ারী
বলেন, এ ধরনের বাল্যবিবাহ ও জন্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যু সম্পর্কে আমি অবহিত নই।