কক্সবাজারবাণীর মফস্বল সম্পাদক আমান উল্লাহর উপর ডাঃ আব্দুস ছালাম বাহিনীর হামলা

সিভিল সার্জন অফিসের ঘুষ কেলেঙ্কারি ফাঁসের জের

নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আব্দুস ছালাম ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক কক্সবাজারবাণীর মফস্বল সম্পাদক এম. আমান উল্লাহকে বেদড়ক পিটিয়ে হাত-পা গুড়িয়ে দিয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে কক্সবাজার শহরের ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন অফিসের মাসিক ঘুষ ৫০ লাখ টাকা শিরোনামে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় ক্ষিপ্ত  হয়ে মেডিকেল অফিসার আব্দুস ছালাম পরিকল্পিত ভাবে এ ঘটনা ঘটায় বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য বিকেলে সাংবাদিক এম. আমান উল্লাহ ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালের সামনে গেলে আকস্মিক ভাবে ডাঃ আব্দুস ছালাম ও অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। শত শত লোকের সামনে প্রকাশ্যে তারা সাংবাদিক এম. আমান উল্লাহকে ব্যাপক মারধর করে ক্ষান্ত হননি, সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে সাংবাদিক এম. আমান উল্লাহর ডিজিটাল ক্যামরা, আইডি কার্ড ও সাথে থাকা নগদ টাকা পয়সা কেড়ে নেয়। সন্ত্রাসীদের বেদড়ক পিটুনির এক পর্যায়ে সাংবাদিক আমান উল্লাহর শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ডাঃ আব্দুস ছালাম ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা বীরদর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
একজন সরকারী কর্মকর্তা কর্তৃক এমন সন্ত্রাসীমূলক আচরণে উপস্থিত লোকজন হতবাক হয়ে বলাবলি করেন, ডাঃ আব্দুস ছালামের কুর্কীতি ফাঁস হওয়ায় যে ঘটনাটি তিনি করেছেন, তা খুবই ন্যাক্কারজনক। তাই প্রত্যক্ষদর্শীরা ডাঃ আব্দুস ছালামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। প্রকাশ্যে সাংবাদিক আমান উল্লাহর উপর হামলার ঘটনা মুহুর্তেই চাওর হয়ে উঠলে কক্সবাজারে কর্মরত সাংবাদিকরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িত সন্ত্রাসী আব্দুস ছালাম ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের তড়িত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আজাদ মিয়া জানান, সাংবাদিকের উপর হামলার খবরটি তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে আক্রান্ত সাংবাদিক অভিযোগ দিলে নিশ্চয় তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের বত্তাতলি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা রশিদ আহমদের ছেলে ডাঃ আব্দুস ছালাম একজন দাগি ও চিহ্নিত অপরাধি। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের বিভিন্ন থানা ও আদালতে অসংখ্য মামলা রয়েছে। সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার হওয়ার সুবাদে যোগদানের পর থেকে তিনি সরকারী কর্মচারী আচরণ বিধি লংঘন ও নানা অসামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন