পরিস্থিতি বেগতিক দেখলে জরুরি অবস্থা জারি করবে সরকার!

অক্টোবরের পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে, কি হবে, তা নিয়ে জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, জল্পনা-কল্পনার অবধি নেই। নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলগুলোর অনড় অবস্থানে শেষ পর্যন্ত পরিবর্তন আসবে বলে যারা আশা পোষণ করে আসছিলেন, তারাও এখন হতাশায় ডুবতে বসেছেন। কোথাও আলোর রেখা দেখা যাচ্ছে না। সরকারি মহলের এককথা: সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।
সংসদ, মন্ত্রিসভা বহাল থাকবে। কেউ যদি নির্বাচনে না আসে, আওয়ামী লীগ একাই নির্বাচন করবে, এমন কথাও সরকারিদলের কোনো কোনো নেতা ইতোমধ্যে বলে দিয়েছেন। অন্যদিকে বিরোধীমহলও তার দাবিতে অটল। নির্বাচনে বিরোধীদলগুলো অংশ নেবে না। নির্দলীয় সরকার ছাড়া অন্য কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো চেষ্টা হলে তারা তা প্রতিহত করবে।
এমন মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে বিকল্প চিন্তা-ভাবনাও শুরু করেছে সরকারের উপর মহল। এমনকি বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর হুমকি-ধমকি মোকাবেলায় দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারির ব্যাপারে মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে সরকার ও সরকার সমর্থকরা।
আওয়ামী লীগ ও তার সমমনা দলগুলো রাজপথে থেকেই বিরোধীদের মোকাবেলার ঘোষণা দিয়ে রাখলেও সরকার প্রথমত আইন-শৃংখলাবাহিনী দিয়েই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করবে বলে জানা গেছে। তবে পরিস্থিতি দাবি করলে সরকার জরুরি অবস্থা জারি করতে এক মুহূর্ত দেরি করবে না বলে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক সূত্র থেকে বলা হচ্ছে।
জানা যায়, আন্দোলন দমানোর অংশ হিসেবে ব্যাপক ধরপাকড়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদুল আজহার আগেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে র‌্যাব পুলিশের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড (বিজিবি) মোতায়েন করা হতে পারে। প্রাথমিকভাবে রাজধানী ঢাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে বিজিবি মোতায়েনের চিন্তাভাবনা চলছে। এ মোতায়েন নির্বাচনের আগ পর্যন্ত বহাল রাখা হতে পারে। তবে এতেও শেষ রক্ষা না হলে ঘোষনা করা হতে পারে জরুরী অবস্থা।
এবিষয়ে সেনাবাহিনীর সরকার ঘনিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটে সেনাবাহিনীর একটি অংশও জড়িয়ে যেতে পারে। আর তাদের জড়িয়ে যাবার পুরো বিষয়টিই নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবুজ সংকেতের উপর। তবে এবিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকার করেন তিনি।
এদিকে জরুরি অবস্থা জারি করা হলে বিএনপি কী করবে সে স¤পর্কে দলটির নীতিনির্ধারকরা ¯পষ্ট করে কিছু বলতে চাচ্ছেন না। - তাজাখবর.কম

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন