হারিয়ে যাচ্ছে হাওর-দ্বীপের জীব বৈচিত্র্য

কক্সবাজারবাণী ডেস্ক: বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদের সংখ্যা ব্যাপকহারে কমে যাওয়ায় হুমকির মুখে কক্সবাজার জীববৈচির্ত্য। দেশের বিস্তীর্ণ উপকুলীয় এলাকা ও দেশের বিভিন্ন জলাভূমিকে জীববৈচির্ত্যও সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলো- টেকনাফ উপদ্বীপ সৈকত, সেন্টমার্টিন দ্বীপ, সোনাদিয়া দ্বীপ, ধলঘাটা মাতারবাড়ী উপদ্বীপ।

টেকনাফ উপদ্বীপঃ
বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাময় সৈকত এটি। উপদ্বীপটি চার প্রজাতির কাছিমের প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত। অতিথি পাখিরা এখান দিয়েই উড়ে যায়। শীতকালে এখানে প্রায় ১৮ প্রজাতির বিপুল সংখ্যক অতিথি পাখির সমাগম হয়।
সেন্টমার্টিনস দ্বীপঃ
বিশ্বের দুর্লভ কয়েকটি এলাকার একটি হচ্ছে সেন্টমার্টিনস। এখানে প্রবাল শৈবালের প্রাচীর এক মায়াময় পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে। এটি অতিথি পাখিদেরও বিচরণভূমি।
কুতুবদিয়া দ্বীপঃ
কুতুবদিয়া দ্বীপ দেশের অন্য দ্বীপের চেয়ে আলাদা। সাগর ঘেঁষা এ দ্বীপটি জলজ ও উভচর প্রাণীদের বিচরণ ভূমি ছিল। বর্তমানে এখানে কিছু জলজ পাখি দেখা যায়। বাকিরা হারিয়ে গেছে।
ধলঘাটা মাতারবাড়ী উপদ্বীপঃ
মহেশখালী জেলার দু’টি ইউনিয়নকে নিয়ে এ দ্বীপ। বঙ্গোপসাগর ও কুহেলিয়া নদীবেষ্টিত এ দ্বীপ এখন নদী ভাঙনে ক্ষীণ হয়ে গেছে। এ দ্বীপে এক সময় নানা জীববৈচির্ত্যের লীলাভূমি ছিল। এখন সব রূপকথার গল্পের মতো। সব হারিয়ে গেছে।
সোনাদিয়া দ্বীপ ঃ
সোনাদিয়া ম্যানগ্রোভ বন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সুন্দরবনের চেয়ে ভিন্নকরমের। এই দ্বীপটি জলজ পাখিদের বিচরণ ভূমি। জীববৈচির্ত্যের লীলাভূমি এই হাওর ও দ্বীপগুলো আজ নানামুখী সংকটের শিকার। এখানে ম্যানগ্রোভ বনের গাছগুলি অবাধে কাটা হচ্ছে। হাঁস-মুরগির খাবার হিসেবে সামুদ্রিক শামুক ব্যাপকভাবে আহরণ করা হয় এখান থেকে। নিয়মিত সামুদ্রিক কাছিম শিকার করা হয়। অনিয়ন্ত্রিতভাবে গরু-মহিষ চরিয়ে ম্যানগ্রোভ বন ও সৈকতের গাছপালা বিনষ্ট করা হয়। কৃষির প্রয়োজনে নলখাগড়া ও জলাভূমির বন উজাড় করা হচ্ছে। এসব কারণে জীববৈচির্ত্য আজ হুমকির সম্মুখীন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন