এম এ আহাদ শাহীন : যেকোনো মূল্যে একতরফা নির্বাচন রুখে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া। গণতন্ত্রকে চিরতরে নির্বাসনে পাঠিয়ে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একদলীয় সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র চলছে বলেও অভিযোগ করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। শনিবার শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে খালেদা জিয়া এ হুঁশিয়ারি দেন।
দিবসটি উপলক্ষে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদ নূর হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন খালেদা জিয়া। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নূর হোসেন একটি অবিস্মরণীয় নাম। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের এক লড়াকু সৈনিক হিসেবে তিনি রাজপথে নেমে এসেছিলেন বুকে পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান লিখে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের দাবিতে সোচ্চার এই যুবকের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে স্বৈরশাসকের বন্দুক গর্জে উঠেছিল। স্বৈরাচারের বুলেট বুকে বরণ করে নিয়েছিলেন নূর হোসেন। নূর হোসেনের সে অবদান বৃথা যায়নি। তার রক্তের ধারা বেয়েই ‘৯০- এর গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে, মুক্ত হয় আমাদের গণতন্ত্র।
তিনি অভিযোগ করেন, ষড়যন্ত্র চলছে এদেশ থেকে গণতন্ত্রকে চিরতরে নির্বাসনে দেয়ার। একতরফা নির্বাচন করে একদলীয় সরকারব্যবস্থা পুনরায় চালু করার গোপন চক্রান্ত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। স্বৈরাচারী শক্তির এ চক্রান্ত্র রুখতে হবে যেকোনো মূল্যে।
শহীদ নূর হোসেনের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে একটি মুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারেও প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান বিরোধী দলীয় নেতা।
একই সঙ্গে দল-মত নির্বিশেষে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করারও আহ্বান জানান।
এছাড়া শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষ্যে পৃথক বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বাণীতে তিনি শহীদ নূর হোসেনের অবদানে নব্বইয়ে অর্জিত গণতন্ত্র আবার বিপর্যস্ত দাবি করে একে মুক্ত করতে সবাইকে শপথ নেয়ার আহ্বান জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন