
নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, সাতক্ষীরা, নাটোরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার নাম উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এসব এলাকায় সরকারি বাহিনী ও সরকারি দলের কর্মীরা এসব এলাকায় লাগামহীন সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করেছে।
গণতান্ত্রিক দেশে আইনের শাসন যখন না থাকে তখন এসব ঘটনা ঘটে।
সরকার এভাবে বিরোধী দলকে হত্যার মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। তাদের নেতাদের মুখে ‘নির্মূল’ ছাড়া আর কোনো কথা শোনা যায় না।
৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের শবযাত্রা শুরু হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গোটা জাতিকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছে এবং মিথ্যা সহিংসতার অভিযোগ এনে বিরোধী দল নির্মূলের ষড়যন্ত্র করছে।
এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়ে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় মানবাধিকার সংস্থার মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন।
তিনি বলেন, বন্ধ করুন প্রতিহিংসার রাজনীতি, বন্ধ করুন হত্যা, গুম, খুন। উদার গণতান্ত্রিক শাসনের পথে আসুন। দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন, অবিলম্বে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় সরকারে কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।
দেশ বাঁচান, মানুষ বাঁচান, অন্যথায় স্বৈরশাসকদের মতো নির্মম ভাগ্য বরণ করতে হবে, যোগ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে বিচারকরা স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না, বিচারকরা তাদের পছন্দ মতো কাজ না করলে তাদেরকে হেনস্তা করা হচ্ছে।
দীর্ঘ ৪৭ দিন পর গত ১৬ জানুয়ারি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় খোলার পর মির্জা ফখরুলের এটাই প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন