নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়নের দুর্গম বাদুরঝিরি এলাকা থেকে বিতাড়িত ১৪টি চাক পরিবারের পাশে দাড়াঁলো উপজেলা প্রশাসন

ইউনুছ
বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ক্ষাইশারী ইউনিয়নের আলীক্ষ্যং মৌজার অর্ন্তগত দুর্গম বাদুরঝিরি পাড়ায় বসবাসকারী ১৪টি চাক পরিবারকে কতিপয় ভূমিদস্যুর দল ভয়ভীতি প্রদর্শন করে গত ১০ মার্চ বিতাড়িত করে মর্মে সংবাদ পাওয়া যায় ।
বিতাড়িত পরিবার গুলি মধ্যম চাক পাড়া,চাক হেডম্যান পাড়া এবং উপর চাক পাড়ার খোলা জায়গায় কাচাঁ ঘর বাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসছে । বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মৌখিক ভাবে সংবাদ পাওয়ার পর গত ১৫ মার্চ তিন ঘন্টার দুর্গম পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে পুলিশ ফোর্স নিয়ে বাদুরঝিরি পাড়ায় গিয়ে কথিত ভূমি দস্যুদের সন্ধান পাননি । উপজেলা প্রশাসন পরিবার গুলির ফিরে যাওয়ার পরিবেশ তৈরিতে জনপ্রতিনিধি,স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে চেষ্ঠা করতে থাকে । কিন্তু সহজ সরল জুম চাষের উপর নির্ভরশীল পরিবার গুলি লিখিত ভাবে কোন অভিযোগ করতে অস্বীকৃতি জানায় । ইতিমধ্যে ২৯ মে পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মো ঃ আলমগীর হোসেন বিষয়টির ব্যাপারে সরজমিনে তদন্ত করেন । এক পর্যায়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলিকে আর্থিক ,গৃহ নির্মাণ ও খাদ্য সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় । গত ৪ জুন মঙ্গলবার বিকালে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ জামিল প্রতিটি চাক পরিবার প্রধানের হাতে নগদ ৬ হাজার টাকা,৩০ কেজি আতপ চাউল এবং এক বান্ডিল ঢেউ টিন তুলে দেন । এসময় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি থানার সেকেন্ড অফিসার এস,আই অমিত বড়–য়া,বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ,বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মনু,বাইশারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো ঃ আলম প্রকাশ আলম মাঝি প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন । নগদ অর্থ,চাউল ও ঢেউ টিন বিতরনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ জামিল অসহায় চাক পরিবার গুলির নিজ গন্তব্যে ফিরে যাওয়ার পরিবেশ তৈরিতে সকল প্রকার সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন । এ সময় চাক পরিবার গুলির পক্ষ থেকে বর্ষা মৌসুম সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখার অনুরোধ করা হয় । তারা বলেন,-জুমের জমি থেকে বিতাড়িত হয়ে তারা বর্তমানে দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন । তবে প্রশাসনের সহায়তা পেলে তারা অবিলম্বে বাদুরঝিরিতে ফিরে যাবেন বলে জানান । 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন