পুলিশের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে জলদস্যু সম্রাট বাদল নিহত : আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধার


নিজস্ব প্রতিবেদক
পেকুয়া উপজেলার মগনামাঘাট এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে কুতুবদিয়ার শীর্ষ জলদস্যু সম্রাট বাদল ডাকাত (৪৮) নিহত হয়েছে। গত ১৯ জুন দিবাগত রাত ১২টার দিকে পেকুয়ার মগনামারঘাটে এলাকায় এ বন্দুক যুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাদল ডাকাত কুতুবদিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে পেকুয়ার মগনামাঘাট এলাকায় তার এক সহযোগিসহ অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে দিবাগত রাত ১২টার দিকে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও পেকুয়া থানা পুলিশের যৌথ দল পেকুয়ার মগনামা ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবস্থানকারী বাদল ডাকাত লক্ষ করে । পুলিশের উপস্থিতি বাদল ডাকাত টের পেয়ে প্রথমে পালানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাদেররেক ধাওয়া করলে করে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ায়। এতে পুলিশের এসআই মুকবুল হোসেন, সিপাহি মনছুর, পলাশ বিশ্বাস, সাধন বড়–য়া আহত হয়। একপর্যায়ে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে গোলা গুলির একপর্যায়ে বাদল ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ বাদল ডাকাতকে পেকুয়া থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রেরন করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন। জেলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার বাদল ডাকাতকে মৃত ঘোষণা করে। অন্যদিকে আহত পুলিশ সদস্যদেরকে পেকুয়া থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র,১১ রাউন্ড কার্তুজ ও ১৩ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করে। এদিকে গুলি বিনিময়ের শব্দ ও শোর চিৎকারে ঘটনাস্থলের আশপাশ হতে আসা লোকজন বাদল ডাকাতের পরিচয়টি নিশ্চিত করে। বাদল ডাকাত কুতুবদিয়া থানার মামলা নং-৭(১০) ৯৬,ধারা-অস্ত্র আইন ১৯-ক এর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। এছাড়া ্তার বিরুদ্ধে হত্যা,ডাকাতিসহ ৮টি মামলা রয়েছে যার মধ্যে ৪টি মামলায় তাার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা মূলতবী রয়েছে। বাদল ডাকাত ৭ বৎসর জেল হাজতে আটক থাকার পর ২০০২ সালে মুক্তি পেয়ে সৌদি আরব পালিয়ে যায়। ৪ বৎসর পর ২০০৬ সালে দেশে ফেরত এসে পূনরায় নৌ-ডাকাতি ও অপহরনসহ মুক্তিপণ আদায়ে নিয়োজিত ছিল

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন