এ এম জি ফেরদৌস
পবিত্র মক্কা শহরটা অনেক বড়, আমাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় না থাকায় পুরো শহরটা ঘুরে দেখা সম্ভব হয়নি। তবে শহরে ঘুরতে ভয়ের কোন কারণ নেই। কেননা ঢাকা শহরের মতো কোন যানজট নেই।
ধন্যবাদ আরব সরকারকে, তারা উন্নয়ন পরিকল্পনায় ৪ ভাগের ১ ভাগ জায়গা বাড়ি / ঘর করার জন্য রেখে বাকি ৩ ভাগ জায়গা যাতায়াত ও সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য রেখেছেন। আর দেশরক্ষার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারে তারা আমাদের চেয়ে অনেক অগ্রগামী। বিজ্ঞানের উৎকর্ষতা এবং সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। অল্প জনশক্তিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার দ্বারা দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করেছে। সরকারের ২০২০ সালের পরিকল্পনা সারাবিশ্বের হাজীদের জন্য একটি নতুন চমক সৃষ্টি করবে। চলুন জাবালে রহমত বা আরাফাতের ময়দানে, যেখানে গেলে আপনার মনে পড়বে আমাদের আদি পিতা ও মাতা হযরত আদম (আ:) ও হাওয়া (আ:) এর মহামিলনের দৃশ্যের কথা। যা আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেবে, পৃথিবী সৃষ্টির আদি ইতিহাসকে। যা আমরা সবাই জানি। আদম (আ:) ও হাওয়া (আ:) শয়তানের ধোঁকায় বেহেস্তের মধ্যে কিভাবে গুন্দুম খেলেন? কিভাবে আল্লাহতালা রাগান্বিত হয়ে তাদেরকে দুনিয়ায় প্রেরণ করলেন? কিভাবে তারা বছরের পর বছর একজন আরেকজনকে খুঁজতে থাকলেন? কিভাবে তারা একে অপরকে খুঁজে পেলেন? আর খুঁজে পাওয়া এবং দুনিয়ায় সংসার জীবনের সূত্রপাত ঘটানোর সেই ঐতিহাসিক ময়দান হচ্ছে আরাফাতের ময়দান। কাল কেয়ামতের বা রোজ হাশরের হিসাব নিকাশের মাঠ ও হবে এই আরাফাতের ময়দান। সেটা ভাবতেই কলিজা কেঁপে উঠলো, বুকটা ধরফর করে উঠলো। যেখানে সমস্ত বনি আদম উপস্থিত হবেন তার আমলনামার হিসাব নিয়ে। আর প্রত্যেক বনি আদমের ভাগ্যে লিপিবদ্ধ হবে পুরস্কার অথবা তিরস্কার অর্থাৎ জান্নাত অথবা জাহান্নাম।
আরাফাত ময়দান থেকে ফিরতে হাজীদের মিনা ক্যাম্প ও শয়তানকে উদ্দেশ্য করে পাথর নিক্ষেপ এর স্থান পরিদর্শনে গিয়ে বিপাকে পড়লাম। পুরো ক্যাম্প এলাকায় কাজ চলছিল। অসংখ্য / অগণিত রাস্তা, কোনদিক দিয়ে ঢুকলাম আর কোনদিক দিয়ে বের হব, তা মেমোরিতে রাখা সম্ভব হলনা। মাইলের পর মাইল ঘুরেও জিজ্ঞাসা করার জন্য একজন লোক খুঁজে পেলাম না। এক থেকে দেড় ঘন্টা ঘুরে পথ খুঁজে পেলাম। অপরূপ সুন্দরভাবে সাজানো হচ্ছে মীনা ক্যাম্পকে। উপর থেকে হাজার হাজার ছাতার দৃশ্যকে অর্থাৎ ছাতা আকৃতির হাজী ক্যাম্পকে ফুটন্ত ফুলের সাদা পাপড়ির মত মনে হবে। যেদিকে তাকাবেন চোখ ছানাবরা হয়ে যাবে। আর পাহাড়ের ভিতরে সুড়ঙ্গ করে যে রাস্তা করা হয়েছে, তা স্বচক্ষে না দেখলে কলমের লেখায় এর সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তোলা সম্ভব না। ভীষণ কষ্ট করে শত কোটি টাকার বাজেটে কঠিন শিলা কেটে এগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।
আল্লাহ্তায়াল নিদর্শনের কথা কোনটা রেখে কোনটা বলি তা যেন ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা। অবিশ্বাসীদের জন্য শুধু একটা উপামই যথেষ্ট। জ্বীন এবং ইনসানই যে শুধু আল্লাহর হুকুমের অধীন তাই নয়। পশু-পাখি হতে দুনিয়ার সব মাখলুকাতই যে আল্লাহর হুকুমের অধীন। প্রমান চান? তাহলে শুনুনু- ক্বাবা ঘরের প্রধান গেইটের আগে একটা জায়গা আছে, সকাল সন্ধ্যায় যেখানে কবুতর পাখিদের খানা দেওয়া হয়। এতো পাখি খানা খাচ্ছে কিন্তু একটু বিষ্ঠা বা পায়খানা কোথাও নেই। অথচ আমাদের দেশে পাখি খানা খেলে সেখানে পায়খানায় ভরে যায়। মক্কার যে প্রান্তেই পাখিরা খাবার গ্রহণ করুক না কেন, সব পাখি বিষ্ঠা ত্যাগ করবে গজবী পাহাড়ে। আল্লাহতায়ালার কি লীলা-খেলা, বোঝার সাধ্য কারও নেই। গজবী পাহাড় কোথায় জানেন কি? গজবী পাহাড় হচ্ছে সেই পাহাড়, যে পাহাড়ে আল্লাহর দুশমন ইয়ামীনের খ্রীষ্টান বাদশঅ আবরাহা ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে রাসুলুল্লাহ (স:) এর জন্মের ৫০ দিন পূর্বে ৬০ হাজার সৈন্য ১৩ টি হাতির বহর নিয়ে মক্কায় ক্বাবা শরীফ ধ্বংস করার জন্য এসেছিল। আর তারা পবিত্র মক্কার প্রবেশদ্বারে একটি পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছিল। আল্লাহতায়ালার হুকুমে আবাবিল নামক পাখির ঝাঁক একটুকরা করে অগ্নিপাথর নিক্ষেপ করে গোটা বাহিনীকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। যাকে উদ্দেশ্য করে পরবর্তীতে সূরা ফীল নাজিল হয়েছিল। সেই থেকে মক্কার সব পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে এসে গজবী পাহাড়ে বিষ্ঠা ত্যাগ করে চলে যায়। এ আল্লাহতায়ালার অস্তিত্বের এবং হুকুমের এক জ্বলন্ত প্রমাণ। যা প্রত্যক্ষ করলে অবিশ্বাসীর মুখ থেকেও বেরিয়ে আসবে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (সা:)’। চলবে
চলুন মদিনার পথে
মক্কা থেকে মদিনার দূরত্ব ৪৪০ কি.মি., যদি জেদ্দা থেকে সোজা মদিনা যেতে চান তবে দূরত্ব হবে ৪১০ কি.মি. আর জেদ্দা বিমান বন্দর থেকে মক্কার দূরত্ব হবে ৯০ কি.মি.।
মদিনা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাত ১০ টার সময় হোটেল থেকে বেরিয়ে পড়ি। পবিত্র হেরাম শরীফের পার্শ্বে জিএমসি গাড়ির চালক, তার পরনে এরাবিয়ান পোশাক ও মাথায় পাগড়ি বা চাকা আছে, ‘মদিনা মদিনা’ বলে ডাকতে লাগলো। এতো দামি গাড়ি ভাড়া খাটবে দেখে, আমার কেন জানি মনে একটু খটকা লাগল। তবুও আমাদের দো-ভাষী আমিন ভাইকে জিজ্ঞাসা করতে বললাম- কত রিয়াল হলে সে মদিনায় যাবে? ড্রাইভার বললো ৪৫০ রিয়াল। দরদাম করে শেষ পর্যন্ত ৩৫০ রিয়ালে গাড়ির ভাড়া ঠিক হলো, আমরা গাড়িতে উঠলাম। আমিন ভাই খুব ভাল আরবি জানেন, মনের খটকা দূর করার জন্য ড্রাইভারের কাছে জিজ্ঞেস করতে বললাম যে, এতো দামি গাড়ি নিয়ে ভাড়া খাটছে কেন? চালক বললেন, সে মাদ্রাসার ছাত্র, মাদ্রাসা বন্ধ তাই তার বড় ভাইয়ের গাড়ি নিয়ে ভাড়ায় বের হয়েছে। আরও জানালো যে, সৌদি সরকার তার দেশের বেকার যুবকদেরকে সহজ কিস্তিতে দামি দামি বিদেশি গাড়ি কেনার সুযোগ করে দিয়েছে। তার মতো আরও অসংখ্য যুবক এখন এ রকম দামি গাড়ি নিয়ে ভাড়া খেটে আয় করছে এবং পাশাপাশি ব্যাংকের লোন পরিশোধ করছে।
পবিত্র মক্কা শহর ছেড়ে হাইওয়েতে ওঠার পর, গাড়ির গতি দেখলাম ১৮০ কি.মি. ছুঁই ছুঁই করছে। চালককে অনুরোধ করলাম যে, আরও কম স্পিডে গাড়ি চালানোর জন্য। অনেক বলার পর চালক ১৪০/১৪৫ কি.মি. গতিতে চালাতে লাগলো। আসলে রাস্তার যা অবস্থা, তাতে ২০০ কি.মি. গতিতে গাড়ি চালালেও আপনার এতটুকু ভয় লাগবে না, যতটুকু ভয় আমাদের দেশে ৮০/৯০ কি.মি. বেগে চালালে লাগে। রাস্তা ও তার পাশের সৌন্দর্য্যরে বর্ণনা করার মতো ভাষা আমার জানা নেই। দেখে মনে হয় যেন, শিল্পীর তুলিতেও এত নিখুঁত, এতো সুন্দর ছবি আঁকতে পারে না, যতটা সুন্দর করে রাস্তা সাজানো হয়েছে। শত শত গাড়ি চলছে তো চলছে কিন্তু একটা হর্ণের শব্দও আপনার ভাবনায় বিঘœ ঘটাবে না। মাঝে মাঝে দু’একটা হর্ণের শব্দ কানে আসে। আর তা হলো ট্রাফিক বা হাইওয়ে পুলিশের গাড়ির হর্ণ। চলবে....
আর সে হর্ণের শব্দ একটু ভিন্ন প্রকৃতির, গতানুগতিক আমাদের দেশের গাড়ির হর্ণের মতো নয়। মক্কা থেকে মদিনার দীর্ঘ পথে শুধুমাত্র একটি ট্রাফিক পয়েন্ট ও দুইটি চেক পোস্ট আছে। একটি মক্কার প্রবেশ পথে আর একটি মদিনার প্রবেশ পথে। শুধু একজন করে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু লক্ষ করলাম পুলিশ না থাকলেও চালকরা ভয়ে ভয়ে থাকে, কারণ রাস্তার চারপাশে শত শত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, স্পিড কন্ট্রোল ও মনিটরিং এর ব্যবস্থা আছে। মানুষের চোখে ফাঁকি দিলেও ক্যামেরার চোখ ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই।
আল্লাহতা’লার পেয়ারে হাবিব বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত, আখেরী পয়গম্বর, নবীকূলের শিরোমণি হযরত মুহাম্মদ (স:) এর পবিত্র রওজা শরীফের যতই কাছে যাচ্ছি, মনের ভিতর ততোই চাপ অনুভব করছি। শরীরের লোমকুপগুলো যেন খাড়া হয়ে উঠেছে, গাড়িতে চড়ে এসির বাতাস খেয়ে মদিনা যাচ্ছি। আর আমাদের রাসুল হযরত মুহাম্মদ (স:) আজ থেকে ১৩৮৯ বৎসর পূর্বে অর্থাৎ ৬২২ খৃস্টাব্দে ৫২ বৎসর বয়সে তাঁর এর প্রিয় জন্মভূমি মক্কা ছেড়ে মদিনার উদ্দেশ্যে, উত্তপ্ত বালু সমুদ্রের উপর দিয়ে পথ চলেছিলেন। কী কঠিন অবস্থা ছিল তখনকার সময়। একটু চোখ বন্ধ করে, যদি আপনি তখনকার একটি চিত্র চোখের সামনে কল্পনা করেন, তাহলে বুঝতে পারবেন যে কি ভয়াবহ অবস্থা ছিল তখনকার সময়ে।
জীবন্ত স্বপ্ন দেখতে দেখতেই পবিত্র মদিনা শরীফ পৌছে গেলাম রাত ৪টার দিকে অর্থাৎ ৬ ঘন্টার মত সময় লাগলো আমাদের পবিত্র মদিনা পৌঁছতে। বেশ কয়েকটা হোটেল খুঁজে খুঁজে রুম না পেয়ে অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। পরে মসজিদে নব্বীর প্রধান গেইটে আন্দালুসি নামে একটি হোটেলে রুম পেলাম, ৫০০ রিয়াল ভাড়া। যাই হোক, ভাড়া একটু বেশি হলেও, এ মুহুর্তে এ নিয়ে ভাবার সময় আমাদের নেই। কারণ আমরা মসজিদে নববীতে ফজরের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে নিয়ত করে এসেছি।
ফজরের আযান হল, গোটা মদিনা যেন জেগে উঠলো। এতো মানুষ! পিছন থেকে মানুষের ভিড়ের ফাঁকে ফাঁকে এক পা-দু’পা করে সামনে যেতে লাগলাম। রাসুলুল্লাহ (স:) এর রওজার খুব একটা কাছে যেতে না পারলেও পিছনের দিকে তাকিয়ে মনে হল আমরা অনেক সামনে আছি, কেননা পিছনের কাতার চোখে কাভার করলনা। খুশি হলাম এ ভেবে যে, স্বপ্নময় পরিবেশের মাঝখানে দাঁড়িযে আছি। মনের অনুভুতি কলমের মাথায় লিখে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয়।
পবিত্র মক্কার হাজীদের অবস্থা আর পবিত্র মদিনার হাজীদের অবস্থা মানে আচার আচরণ যোজন যোজন তফাৎ। যে হাজী মক্কায় পবিত্র হেরেম শরীফের চারিদিকে চিৎকার করে করে দোয়া পড়ে তওয়াফ করছেন, সে যেন মদিনায় এসে বোবা হয়ে গেছে। ফিস ফিস করে কথা বলছে, কোন সাড়া শব্দ নেই। যেন কোন অদৃশ্য শক্তি সবার কণ্ঠ চেপে ধরেছে, মনে হয় যেন একটু দূরে দুনিয়ার বাদশা বসে আছেন। তিনি আমাদের দিকে তীক্ষè দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন, সামান্য বেয়াদবি হলে আর রক্ষা নাই। সে রকম একটি ভয় ভয় পরিবেশ।
ফজরের নামাজ শেষে আবার মানুষের ভিড়ের ফাঁকে ফাঁকে হাটতে লাগলাম। এক সময় পৌঁছে গেলাম সেই কাঙ্খিত স্থানে, যাকে বলা হয় রিজওয়ানুল জান্নাত অর্থাৎ বেহেস্তের টুকরা। যেখানে দাঁড়িয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে পারলে নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে হবে। নামাজ শেষে দীর্ঘ মোনাজাত করলাম, আমার এক সফরসঙ্গী রানা কানে কানে বললো হাজীগণ সবাই লাইন ধরেছে, রাসুলুল্লাহ (স:) এর রওজা জিয়ারত করার জন্য। আমরাও লাইনে দাঁড়ালাম। আমাদের হাঁটতে হলোনা, কেননা পিছন থেকে মুসল্লিগণ আমাদের ধাক্কা দিয়ে সামনে নিয়ে যাচ্ছিল।
আস্তে আস্তে রাসুলুল্লাহ (স:) এর রওজার নিকটবর্তী হতে লাগলাম, দুরুদ ও সালাম পাঠ করতে কাছে চলে গেলাম। ভিড়ের ফাঁক দিয়ে ভিতরে দেখার চেষ্টা করলাম, কিন্তু পিছনের মানুষের ধাক্কায় ভাল করে দেখা সম্ভব হলোনা। তবে এতটুকু দেখলাম, পাশে একটা কবরের জন্য কিছু স্থান খালি আছে। আর সে স্থানটা পূর্ণ করবেন, আমাদের ঈসা (আ:)। অর্থাৎ শেষ জমানায় দাজ্জালের হাত থেকে মুসলিম উম্মাকে বাঁচানোর জন্য মেহেদী (আ:) এর সাথে রাসুলুল্লাহ (স:) এর উম্মত হয়ে ঈসা (আ:) পুনরায় দুনিয়ায় আভির্ভুত হয়ে ইসলামের ঝান্ডা হাতে নেবেন। সারা দুনিয়ায় তাঁর নেতৃত্বে আবার ইসলামের বিজয় নিশান উড়বে। বায়তুল মোকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসা মুসলমানদের হাতে পুনরায় ফিরে আসবে। ঈসা (আ:) ও মেহেদী (আ:) এর সম্মিলিত আক্রমণে ক্ষমতাধর ইহুদী রাষ্ট্রের পতন ঘটবে। ঈসা (আ:) এর মৃত্যুর পর তাকে দাফন করা হবে এই খালি স্থানে। চলবে....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন