অবশেষে হ্নীলা হাই স্কুলের সৃষ্ট জটিলতা তদন্তে ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ

জাফর আলম গুরা
টেকনাফের হ্নীলা হাই স্কুলে দীর্ঘ ১৯ মাস প্রতীক্ষার পর অবশেষে ভূয়া ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা তদন্তে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ করলেন ইউএনও শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন।
এর আগে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নেতৃত্বে প্রাণী সম্পদ ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটিতে শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠায় তিনি ওই কমিটি বাতিল করে উপজেলা কৃষ্,ি প্রাণী সম্পদ ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাত্রয়কে সদস্য করে এসি (ল্যান্ড) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সেলিনা কাজীর নেতৃত্বে উচ্চতর ওই তদন্ত কমিটি গঠন করলেন। ক্ষমতার অশুভ প্রভাবে ওই স্কুলের দীর্ঘ জটিলতা নিরসনে বিগত দু’ইউএনও যে সাহসিকতা দেখাতে পারেননি; সব কিছুর উর্ধ্বে উঠে একটি মৃতপ্রায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাঁচানোর জন্য বর্তমান ইউএনও’র সাহসী ও দৃঢ় পদক্ষেপ সর্বমহলে প্রসংসিত হয়ে উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রবিবার (২৩ জুন) বিকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শাইফুল আলমের নেতৃত্বে পূর্বে গঠিত তদন্ত কমিটির সাথে বৈঠকের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন ওই কমিটির প্রধানকে প্রত্যাহার করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সেলিনা কাজীকে প্রধান, উপজেলা কৃষি অফিসার আবদুল লতিফ, প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা একেএম হুমায়ূন কবীর ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আলমগীর কবিরকে সদস্য করে উপজেলা পর্যায়ের সর্বোচ্চ তদন্ত কমিটি গঠন করেন। 
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ওই স্কুলের টিচার্স কাউন্সিল সচিব মোস্তফা কামাল জানান, মোটাঙ্কের বিনিময়ে অবৈধ উপায়ে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষকই স্থানীয় একটি কু-চক্রী মহলকে খুশীতে রাখতে ভূয়া ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে উপজেলার স্বনামধন্য প্রাচীনতম এই বিদ্যালয়কে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। তিনি একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে দীর্ঘ ৮ মাস ধরে বেতন-ভাতা বিহীনভাবে মানবেতর জীবন-যাপনকারী স্কুলের ১৩ শিক্ষক-কর্মচারীর পক্ষে বর্তমান ইউএনওকে সাধুবাদ জানিয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটিকে সরেজমিন তদন্তের দাবী জানান। 
শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও ওই স্কুলের পিটিএ কমিটির সভাপতি রাশেদ মাহমুদ আলী এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে ইউএনও’র সুদৃঢ় সাহসী পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করে জানান, স্কুলে জটিলতা সৃষ্টির পর ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিভিন্ন আন্দোলন এবং অফিসে অফিসে অভিযোগ জানিয়ে এসেছে। ওইসব অভিযোগ তদন্তে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সরেজমিনে আসার আগেই ভূয়া সভাপতি ও বিতর্কিতভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক তাদের ম্যানেজ করে আসেন। তিনি সমস্যা নিরসনে গঠিত তদন্ত কমিটির সফলতা কামনা করে নিরপেক্ষ ও সরেজমিন তদন্তের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন