শাহপরীরদ্বীপ করিডোর দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে গবাধীপশু আমদানী : আড়ালে ঢুকছে ইয়াবার বড় চালান

মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী
বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত বাণিজ্যের একটি অংশ এবং পশু আমদানির একমাত্র খাত শাহপরীরদ্বীপ কড়িডোর। এটি ২০০৩ সালে চালু হয়। সরকার প্রতি বছর গবাধীপশু আমদানী হাতে
প্রচুর পরিমান রাজস্ব পেলে ও শাহপরীরদ্বীপ করিডোরের কোন ধরনের উন্নয়নের ছোয়া লাগেনী। পশু আমদানী কারকেরা এ ক্ষেত্রে নানা ধরণের ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। স্থল বন্দর থেকে শাহপরীরদ্বীপ করিডোরের দুরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। ব্যবসায়ীরা এ দীর্ঘপথ অতিক্রম করে  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে। করিডোর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রন করেন, একমাত্র শাহপরীরদ্বীপ বিজিবি। এখানে ব্যাংকের শাখা না থাকাতে ব্যবসায়ীরা টেকনাফের সাথে টানাপোড়নে থাকেন এবং এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা টাকা আনানেয়াতে আতংকের মধ্যে থাকেন। শাহপরীরদ্বীপ বেড়ীবাঁধের ভাংগন ও জলোস্বাসে এবং টেকনাফের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবার কারণে শাহপরীরদ্বীপের করিডোর ব্যবসায়ীরা পশু আমদানীতে সবার শীর্ষে রয়েছেন, সাবরাং নয়াপাড়ার দেগিল্যার বিলের মোঃ শরীফ। তার সাথে মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের ব্যবসার লেনদেন এবং বিশ্বস্থতা অন্যান্য ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে তার গ্রহন যোগ্যতা বেশী। তিনি শাহপরীরদ্বীপ করিডোর স্থাপনের পর থেকে এব্যবসার সাথে জড়িত। তার মতে সরকার আসে সরকার যায়, কিন্তু শাহপরীরদ্বীপ করিডোরের উন্নয়নের ছোয়া লাগছেনা কোন মতে। আমদানীকৃত গবাধী পশুরা খোলা আকাশের নীচে প্রখর রোধ ও বৃষ্টিতে ভিজছে। পানি ও খাদ্যের অভাব। প্রতিদিন মিয়ানমার থেকে ঝাকে ঝাকে গবাধী পশু শাহপরীরদ্বীপের করিডোর দিয়ে আমদানী হলেও তুলনায় রাজস্ব আদায় ক্ষীন এবং এ নিয়ে সবার মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। এসব আমদানী হয়ে আসা গবাধীপশু থেকে বিভিন্ন এজেন্সীর নামে বখরা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। করিডোর দিয়ে কি পরিমাণ গবাধীপশু আমদানী হচ্ছে তাহা শুধু বিজিবি ও ব্যবসায়ীছ্ড়াা আর কেউ জানেনা। টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে যে সব পণ্য মিয়ানমার থেকে আমদানী হয়ে আসছে, তাহার গুনগত মান পরীক্ষা নীরিক্ষা করার জন্য সংঘনিরোধ (কোয়ারেন্টাই) একটি বিভাগ রয়েছে। কিন্তু শাহপরীরদ্বীপের করিডোর দিয়ে মিয়ানমার থেকে আমদানী হয়ে আসা গবাধীপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা নীরিক্ষা করার জন্য  কোন সরকারী প্রতিষ্ঠান নেই। এভাবে পরীক্ষা নীরিক্ষা ছাড়াই গবাধীপশু আমদানী হয়ে আসছে। রোগাক্রান্ত গবাধীপশুর মাংস খেয়ে অনেকেই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এমন অভিযোগ অনেকের । এসব আমদানী হয়ে আসা গবাধীপশু কসাইয়রা পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই বাজারে বিক্রি করছে। শাহপরীরদ্বীপ করিডোর অনুসন্ধান জরীপ করে জানা যায়, করিডোর ব্যবস্থাপনা ইয়াবা গডফাদারের নিয়ন্ত্রনে এবং এর আড়ালে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় ধরনের  চালান আসছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছেন। টেকনাফ পৌর এলাকার ২ জন ইয়াবা গডফাদার এর সাথে জড়িত এর মধ্যে একজন রাখাইন। গত চারবছর ধরে নিরাপদে ইয়াবার চালান শাহপরীরদ্বীপ করিডোর দিয়ে আসার পর নিমিষে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এ ২ জন ইয়াবা গডফাদার কারা জানতে চাইলে (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) বলেন, সময় আসলে জানবেন। ওরা সরকার পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছে।  ওরা এ ব্যবসা করে বর্তমানে রাজার হালতে জীবন যাপন করছে। ওরা পর্দার আন্তরালে বসে ইয়াবা ব্যবসা করে আসলেও তাদের কৃতকর্মর ক্রমান্নয়ে গোমর ফাঁস হতে চলেছে। স্থানীয় একটি এজেন্সীকে ম্যানেজ করেই, ইয়াবা করিডোরের আড়ালে চলে আসছে। অবশ্যই এসব তথ্য একাদিক সূত্রের। গত ১ বছরে বিজিবি ৮০ কোটি টাকার চেয়ে বেশী ইয়াবা আটক করলে ও ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে ইয়াবা গডফাদারেরা। শুধু মাত্র ধরা খাচ্ছে ক্ষুদে পাচারকারীরা। বিজিবি কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা পর্যালোচনা কর জানা যায়, অধিকাংশ মামলায় ক্ষুদে ইয়াবা পাচারকারী ও পলাতক আসামী সিজার তালিকায় থাকলেও নেপথ্য ইয়াবা গডফাদারেরা ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। অথচ তাদের ব্যাপারে সীমান্ত  এলাকায় জনশ্র“তি রয়েছে।