টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ীরা কর সার্টিফিকেট সংগ্রহে ব্যস্ত

টেকনাফ প্রতিনিধি
মহাজোট সরকারের মেয়াদ শেষ হতে আর মাত্র ৬ মাস বাকি এবং এ সময়ে ইয়াবা ব্যবসা করে বিওবান বনে যাবার উদ্দেশ্যে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এ সময়কে ওরা কটিন ট্যালেঞ্জ হিসাবে বেচে নিয়েছে। সচেত অজ্ঞি মহলের মতে মরণ নেশা ইয়াবা এ সরকারের আমলে বেশী বিস্তার লাভ করেছে। রাজ নৈতিক দলের নেতা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশ্রয় এবং পশ্রয়ে সীমান্ত এলাকার চিহ্নিত কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবা গডফাদার ও ব্যবসায়ীরা বীরদর্পে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছে। ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ভবিষ্যৎ নির্বাচিত সরকার থেকে বাচার উদ্দেশ্যে আগভাগে মোটা অংকের বিনিময়ে কর সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে রেখেছে। যাতে ওদের বেকায়দায় না পড়তে হয়। সরকারের মেয়াদ শেষ হতে না হতেই ওরা ব্যাংক হিসাব নাম্বারের টাকা ফ্লোজ করে এবং এসব টাকা নিয়ে বাড়ী নির্মান, গাড়ী ও জায়গা জমি ক্রয় করার মহাধুমের মধ্যে পড়েছে। সীমান্ত এলাকার আলোচিত ইয়াবা গডফাদারেরা বিগত সাড়ে বছরে ইয়াবার বদৌলতে রাতারাতী আংগুল ফুলে কলাকাছে পরিনত হয়েছে, ওদের কিন্ত নির্ধারিত কোস ধরনের ব্যবসা বানিজ্য নেই। ওরা ইয়াবার বিপরীত প্রতি মাসে প্রায় ৫০ কোটি বাংলা টাকা মিয়ানমারে হুন্ডির ও বিকাশের মাধ্যমে চলে যাচ্ছে। অনেক সময় ব্যাংকের সংকট দেখা দেয়। সূত্র মতে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা টাকার লেনদেন হয়ে থাকে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে। বেসরকারী ব্যাংক হচ্ছে ইয়াবা ব্যবসায়ও হুন্ডি ব্যবসায়ীদের অর্থ লেনদেন ও জমা প্রদানের একমাত্র মাধ্যম। সূত্রে মতে আরো জানা যায় বাংলাদেশ মিয়ানমার দুদেশের সীমান্ত পর্যায়ে শক্তিশালী ইয়াবা চোরাকারবারী সক্রিয়। ওরা টেকনাফ সীমান্তের ৫টি পয়েন্ট ইয়াবা পাচার করে দিচ্ছে। যেমনঃ লেদা জাদিমুড়া, নাইথং পাড়া, নাজির পাড়া ও সাবরাং নয়াপাড়া। এসব চোরাই পয়েন্টে দিবানিশি নৌকাযোগে রোহিঙ্গা আসা যাওয়া করে থাকে। তার বদৌলতে ইয়াবা প্রবেশ করছে। সূত্র মতে একদিনে ২লাখ ইয়াবা উক্ত আলোচিত পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবা ডুকে। এর মধ্যে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া মৌলভী পাড়া, নয়াপাড়া ও লেদা অন্যতম। এছাড়া টেকনাফ স্থল বন্দর হচ্ছে ইয়াবা প্রবেশ ও পাচার একটি নিরাপদ স্থান হিসাবে পরিচিত। অতীতে ও একটি সংখবদ্ধ ইয়াবা পাচারকারী ইয়াবা পাচার করে আসছিল। বিভিন্ন বিজিবি চেকপোষ্ট সীমান্ত বাণিজ্যের কাট বোঝাই ট্রাকে ইয়াবা ধরা পড়ে। টেকনাফ স্থল বন্দরকে ইয়াবা পাচারের ঘাটি হিসাবে ব্যবহার করার ফলে, স্থল বন্দর হয়ে যায় মৃত। কপিপয় ব্যবসায়ী সীমান্ত বাণিজ্যের আড়ালে ইয়াবা পাচার করে আসছে বলে সীমান্তর একাদিক সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এ সরকারের আমলে ৩১ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নামের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সংশ্লিষ্ঠ থানার পাঠানো হয়েছে। নামের তালিকাটি টেকনাফ থানার এমনি পড়ে আছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন