শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন অর্থমন্ত্রীর

ডেস্ক রিপোর্ট: শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতেই মাধ্যমিক শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মৃহিত। তিনি বলেছেন, আমাদের মাধ্যমিক শিক্ষার মান সবচেয়ে খারাপ। শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ও দুবর্ল মাধ্যমিক শিক্ষা। অর্থমন্ত্রী বলেন, যদিও সবচেয়ে
বেশি অর্থ খরচ হয় এ খাতে। কিন্তু এমপিও পদ্ধতি মাধ্যমিক শিক্ষাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আগামী ৫ বছরে এটিই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।  রোববার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি মাধ্যমিক শিক্ষার মান ও ব্যবস্থা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন। রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
সংগঠনের সভাপতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষা সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সেলিমা খাতুন সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মুহিত বলেন, আমাদের এমপিও পদ্ধতি থেকে যেভাবেই হোক বেরিয়ে আসতে হবে। এর বিকল্প খুঁজে বের করতে হবে। তবে এটা কঠিন নয়। কারণ, সরকার মাধ্যমিক স্তরে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করে। আগামী ৫ বছর শিক্ষা খাতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মাধ্যমিক শিক্ষার সংস্কার ও একে  যুগোপযোগী করা। 
শিক্ষকদের পদোন্নতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে মুহিত বলেন, গণপদোন্নতি দেওয়া সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পদোন্নতিতে গেলে গরু/ঘোড়া সব পদোন্নতি পেয়ে যাবে। এটা করা যাবে না। মান  ও যোগ্যতা বিবেচনায় পদোন্নতি দিতে হবে। 
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আমাদের দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ৩ কোটি ৬৮ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তবে শিক্ষকের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পদ তৈরি করে পদোন্নতি দিতে হবে। কিভাবে এটি করা যায় তা নিয়ে সরকার চিন্তা করছে। তিনি বলেন, অনেক জ্যেষ্ঠ শিক্ষক পদ না থাকায় পদোন্নতি পাচ্ছেন না। তাই বিকল্প কিভাবে কি করা যায় আমরা দেখছি।  সভাপতির বক্তব্যে ফাহিমা খাতুন বলেন, আমাদের গণপদোন্নতির সময় এসেছে। আমরা অধিদফতর থেকে একটি চিঠি দিয়েছি মন্ত্রণালয়কে। সেখানে ১৩তম বিসিএস পর্যন্ত সবাইকে অধ্যাপক, ১৮তম বিসিএস পর্যন্ত সবাইকে সহযোগী অধ্যাপক ও ২৪তম বিসিএস পর্যন্ত সবাইকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিতে হবে। এটি করলে সরকারের ব্যয় খুব বেশি বাড়বে না। কারণ, অনেকেই সংশ্লিষ্ট পদে না থাকলেও সে পরিমাণ আর্থিক সুবিধা ভোগ করছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন