জুলাই মাসে টেকনাফ স্থল বন্দরের সাড়ে ৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়

কক্সবাজারবাণী ডেস্ক: টেকনাফ স্থল বন্দরে জুলাই মাসে ৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। গত বছরের তুলনায় আমদানি কমে হওয়ায় রাজস্ব আদায়ে প্রভাব পড়েছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। সরকার মিয়ানমার সাথে নতুন পদক্ষেপ না নিলে বন্দরে আগের অবস্থা ফিরে আসবে না বলে মত দেন তারা।শুল্ক ষ্টেশন সূত্রে জানান, ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরের প্রথম জুলাই মাসে ১১৬টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৫৬ হাজার ৪৭ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে।
এর বিপরীতে মিয়ানমার থেকে পন্য আমদানি করা হয় ১৮ কোটি ৩৪ লাখ ২৯ হাজার ৯৮৮ টাকার। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক এখনো বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা না হয়নি বলে জানা যায়।
অপরদিকে ৩৯টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে ১ কোটি ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯১ টাকার মালামাল রপ্তানি করা হয়। মিয়ানমারে সমস্যার পর থেকে বন্দরের আমদানী ও রপ্তানী কম হতে চলছে। বন্দরের এ সব সমস্যা থেকে উত্তোলনে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।স্থল বন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ব্যবসায়ীরা সাত দিনের বর্ডার পাশ নিয়ে মিয়ানমারে গেলেও দুইদিনের বেশী অবস্থান এবং ব্যবসার কেন্দ্র স্থল আকিয়ার বা সিটিওয়ে শহরে যাতায়তে বাধা রয়েছে। 
তাছাড়া সেদেশে নিরাপত্তা নিয়ে সংকিত, এসব কারনে বন্দরে আমদানি-রপ্তানিতে অনেকটা প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন তারা।
টেকনাফ স্থল বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, মিয়ানমারে জাতিগত সমস্যার পর থেকে এখনো পুরোদমে ব্যবসা গড়ে উঠেনি। যার ফলে আমদানী আগের তুলনায় কমে গেছে। তাছাড়া জুন মাসের নতুন বাজেটে রাজস্বে বিভিন্ন খাতে এ মাসে পরিবর্তন আনা হয় সেটি কাজে লাগাতে ব্যবসা কম করে। অন্যদিকে এ মাসে ৪ দিনের হরতাল ও বৈরি আবহাওয়ার কারনে মিয়ানমার থেকে পন্য আমদানী কম হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দেশে কোন অনাকাংকিত পরিবেশ সৃষ্টি না হলে আগামী মাসে ব্যবসা অনেকটা আগের অবস্থা ফিরে আসবে বলে আশা করছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন