জামায়াতের দুই এমপি ‘থাকছেন’

ডেস্ক রিপোর্ট: জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন হাই কোর্ট অবৈধ ঘোষণা করলেও এতে আপাতত রাজনৈতিক দলটির দুই সংসদ সদস্যের সদস্যপদ বাতিল হচ্ছে না বলে মনে করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ বলা হয়েছে। এর ফলে দলটি আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী শাহদীন মালিক।


নির্বাচন কমিশন ২০০৮ সালে অন্য ৩৭টি দলের সঙ্গে জামায়াতকেও নিবন্ধন দিয়েছিল। এ টি এম শামসুল হুদা নেতৃত্বাধীন ওই কমিশনে ছিলেন সাবেক আইন সচিব ছহুল হোসাইন।

রাজনৈতিক দল হিসেবে তৎপরতা চালাতে পারলেই ইসিতে নিবন্ধিত দলগুলোই কেবল নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।

নবম সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দুটি আসন থেকে জামায়াতের আ ন ম শামসুল ইসলাম এবং হামিদুর রহমান আযাদ নির্বাচিত হন এবং তারা দায়িত্ব পালন করছেন। 

নিবন্ধন বাতিলের রায়ের পর জামায়াতের এই দুই সংসদ সদস্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চাইলে ছহুল হোসেন বলেন, ‘এ রায়ে তাদের সদস্য পদ যাবে না। কারণ রায়টা হয়েছে দলটির নিবন্ধনের পর।

‘২০০৮ সালে দলের নিবন্ধন যখন আইনসঙ্গত ছিল, তখন তারা সাংসদ হয়েছেন। সুতরাং ওই সদস্যপদ অটোমেটিক্যালি যাবে না।’

জামায়াতের দুই সংসদ সদস্যের সদস্যপদ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি উল্লেখ করে সাবেক এই আইন সচিব বলেন, ‘তাদের সদস্যপদ যাবে যদি কোনো আইনসঙ্গত সংস্থা তাদের অবৈধ বলে ঘোষণা করে।’

হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে আপিল করেছে জামায়াত। তারা বলে আসছে, নিবন্ধন বাতিলের এই প্রক্রিয়া ‘ষড়যন্ত্রের’ অংশ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন