অ্যামিউজমেন্ট ক্লাব নিয়ে ষড়যন্ত্রের অন্ত নেই

সাঈদুর রহমান: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কক্সবাজারে অনন্যাসাজের ইন্টারন্যাশনাল অ্যামিউজমেন্ট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ইন্তেকালের একদিন যেতে না যেতেই প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে শুরু হয়েছে ষড়যন্ত্র। কতিপয় দুষ্কৃতকারী এতে ইন্দন দিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে শুধু কক্সবাজার নয়, দক্ষিণ চট্টগ্রামের বৃহত্তর এই পর্যটন কেন্দ্রটি ধ্বংস করে দিতে। 
জানা গেছে, তারা ওই প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্রসহ খুঁটিনাটি নানা কিছু অজুহাত তুলে অ্যামিউজমেন্ট ক্লাবের সুনাম বিনষ্টের তৎপরতা চালাচ্ছে। অথচ তারা জানে না, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিষ্ঠানটি যিনি শুরু করেছিলেন, তার আগেই পরিবেশের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করা হয়।
এসময় রাষ্ট্রীয় রীতিনীতি অনুসরণ করে অ্যামিউজমেন্ট ক্লাব কর্তৃপক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার ট্রেজারি চালান জমা দেয়। ২০১০ সালের দিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অ্যামিউজমেন্ট ক্লাব কর্তৃপক্ষ পরিবেশের চুড়ান্ত ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য টাকা জমা করে আবেদন করলেও রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের স্থানীয় গুটি কয়েক দূর্নীতিবাজ অ্যামিউজমেন্ট ক্লাবের সাথে ছলনাময়ীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ২০১০ সালের দিকে ক্লাব কর্তৃপক্ষ যখন পরিবেশ ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করে তখন আবেদনটি সরেজমিন অনুসন্ধান করে পরিবেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ইতিবাচক প্রতিবেদন প্রেরণ করে সদর দপ্তরে। এরপর সদর দপ্তর অ্যামিউজমেন্ট ক্লাবকে পরিবেশ ছাড়পত্র প্রদানের জন্য চট্টগ্রাম অফিসকে চিঠি পাঠায়। কিন্তু অ™ভুত ব্যাপার হচ্ছে, কক্সবাজারের পরিবেশের নির্দিষ্ট একটি অফিস থাকার কারণে চট্টগ্রাম অফিস তৎকালীন সময় অ্যামিউজমেন্ট ক্লাবকে লিখিতভাবে পরিবেশ ছাড়পত্র না দিলেও মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়ে তা সংগ্রহের জন্য কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়। শুধু তাই নয, ওই সময় পরিবেশ ছাড়পত্র প্রদানের জন্য ঢাকা অফিস লিখিতভাবে চট্টগ্রাম অফিসকে অ্যামিউজমেন্ট ক্লাবকে পরিবেশ ছাড়পত্র প্রদানের নির্দেশও দিয়েছিল। 
অভিযোগ হচ্ছে, সেই থেকে অদ্যাবধি কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর অনুমোদন পাওয়ার সকল কাগজপত্র এমনকি ঊর্ধ্বতন অফিসের নির্দেশনা পাওয়া সত্ত্বেও কক্সবাজার অ্যামিউজমেন্ট ক্লাবকে পরিবেশ ছাড়পত্র প্রদান করেনি। এই অবস্থায় সচেতন মহলের অভিমত, সংশ্লিষ্ট বিষয়টি ভেবে দেখে যেন কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর তড়িৎ সুরাহা করেন  । 
অন্যথায়, এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে সরকারি ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশ অমান্যসহ পেশাগত অদক্ষতার কারণে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন