ঘুমের অভাবে বদলে যায় জিনের গঠন



ডেস্ক রিপোর্ট: পরীক্ষার একসন্তাহ আগে থেকে রাত জেগে পড়তে হচ্ছে? ঘুম পাচ্ছে, কিন্ত্ত তাকে আমল দিচ্ছেন না একটুও? আপনি হয়তো জানে না, এতে আপনার শরীরের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে৷ যদিও ঘুম কম নিয়ে নানা মুনি নানা মত পোষণ করেন৷ তবে বৃটিশ বিজ্ঞানীদের একটি দল একেবারে অন্য কথা শোনাচ্ছেন৷
আমরা সকলেই জানি সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে একটা ফুরফুরে সকাল শুরু করতে হলে রাতে ন্যূনতম ৬ ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন৷ এর থেকে কম ঘুম হলে , সারা দিন ধরেই শরীরটা ম্যাজম্যাজ করতে থাকে৷ মাথাব্যথা , মনঃসংযোগের অভাবের মতো লক্ষণ তো আছেই৷

কিন্তু বৃটিশ বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী, ৬ ঘণ্টার কম ঘুমের প্রভাব শুধু শরীর বা মন হয়, সরাসরি জিনের ওপর গিয়ে পড়ে৷

গবেষণালব্ধ ফলাফল বিশ্লেষণ করে ওই দলের দাবি, প্রতি দিনের ঘাটতি জমতে জমতে একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর তা একটা বিশাল আকার নিতে পারে৷ এর ফলে পাল্টে যেতে পারে একজনের সামগ্রিক জিনের গঠন৷ এর অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হিসেবে দেখা দিতে পারে ওজন বাড়া, অবসাদ এমনকী হূদযন্ত্রেরও নানা সমস্যা৷ জিনের গঠন বদলে গেলে অসুখগুলি বংশ পরম্পরায় তাড়া করে ফিরবে৷ সমস্যা বাড়বে বই কমবে না৷

তাই বিলেতের এই বিজ্ঞানীদের উপদেশ, সারাদিনে যতটাই কাজ থাকুক না কেন, দয়া করে ঘুমে ফাঁকি দেবেন না৷ অফিসের কাজে ফাঁকি দিলে হয়তো বসের বকুনি শুনতে হবে, কিন্ত্ত ঘুমে ফাঁকি দিলে শরীরের যে ক্ষতি হবে তা শোধরাতে যতটা ঝামেলা পোহাতে হবে তার চেয়ে কয়েক ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেয়া ঢের ভালো৷ তাই আজ থেকেই সাবধান , সময়ে ঘুমিয়ে পড়ুন৷ কাজের অজুহাতে ঘুমে ঘাটতি বাড়াবেন না৷ সূত্র: পিটিআই৷

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন