এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক বৈঠকেও তিনি হাদিস ও কোরআনের প্রেক্ষাপটে বিতর্কিত বাংলাদেশি লেখিকার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি হতে যাচ্ছে বলে জানান। তসলিমার পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে তাকে গ্রেফতারের দাবিও জানান মৌলভি-পুত্র হাসান রাজা।
এ দিকে মামলা দায়েরের খবরে `হতবাক` তসলিমা। নয়াদিল্লি থেকে তিনি জানান, ট্যুইটে কী অন্যায় করেছি, বুঝতে পারছি না। আমি সত্যি কথাই তো বলেছি। আবার ওরা আমার পেছনে লেগেছে। আমি বিস্মিত। ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে, যেখানে বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকার সংবিধানে স্বীকৃত, সেখানে এমনটা কি করে হয়!
সম্প্রতি আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল ভোটে জেতার জন্য উত্তরপ্রদেশের বিতর্কিত মৌলভি মাওলানা তৌকির রেজা খানের সমর্থন চেয়েছেন। ট্যুইটারে কেজরিওয়াল- তৌকির বৈঠকের সমালোচনা করেছেন তসলিমা। এতেই সম্ভবত চটেছেন কিছু মৌলভি।
২০০৭ সালে মৌলভি তৌকিরই হুঙ্কার দিয়েছিলেন, ভারত সরকারকে এদেশে তসলিমার আসা আটকাতে হবে। তিনি তসলিমার মাথার দাম ৫ লক্ষ টাকা ঘোষণাও করেছিলেন। তবে পরে তসলিমাকে কলকাতা থেকে দিল্লি পাঠিয়ে দেয় তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
তার কথা বলা ও মত প্রকাশের অধিকার বরাবরই বিপন্ন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে তসলিমা বলেছেন, মৌলবাদীরা মানবাধিকারে বিশ্বাস করে না। তাই সত্যি কথাটাও বলতে দেওয়া হয় না আমাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন