মহেশখালীতে পুর্নিমার জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ছৈয়দ মোস্তফা আলী, মহেশখালী
মহেশখালীর পৌরসভাস্থ গোরকঘাটার পশ্চিম ও পুর্ব পাড়া এলাকায় টানা ৪ দিন ধরে পুর্নিমার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত ১৬০ পরিবার ও ধলঘাটা ইউনিয়নে পুর্নিমার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে ৪০০ পরিবার। সরজমিনে গেলে জানা যায়, গত ৮ই জ্যৈষ্ঠ থেকে শুরু হওয়া টানা ৭ দিনের পুর্নিমার জোয়ারের ৪র্থ দিন পর্যন্ত পানি ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকায় অত্র এলাকাগুলিতে প্রায় ৫৬০টি মত ঘরবাড়ি পানি বন্দী অবস্থায় জীবন যাপন করছে।
প্রত্যেক বাড়ির ভিতরে কানায় কানায় পানি সকল পরিবারের সদস্যরা সাময়িকভাবে বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে অবস্থানে আছে। গতকাল দুপুর সাড়ে ১১ টার দিকে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় অসংখ্য ঘরবাড়ি পুর্নিমার জোয়ারের পানিতে ভাসছে এবং প্রত্যেকের বাড়িতে হাটুঁ থেকে গলা পর্যন্ত পানি উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ছোট ছোট বাচ্চা ও বৃদ্ধদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। এলাকায় গিয়ে ভোক্তভোগী বশরের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ২৪ মে থেকে পুর্নিমার জোয়ারে অসংখ্য বাড়িঘর পানিতে ভাসছে এবং তাদের বাড়িঘরের অনেক অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ও গরীব লোকেরা অনেকে অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে বলে জানা যায়। সূত্রের তথ্য মতে আরো জানা গেছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার আব্দুল মজিদ, ফরিদ, নুরুন্নবী, ইউনুছ, মৌ:তোফাইল, ক্বারী আব্দুল গফুর, ওসমান সরওয়ার, মিনুয়ারা বেগম, কালা খাতুন সহ অসংখ্য পরিবার। প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কাছে এলাকাবাসীর প্রানের দাবী শিঘ্রই বেড়ী বাঁধ ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সার্বিক সহযোগীতার কামনা করছেন। এদিকে ধলঘাটা ইউনিয়নের ৪০০ পরিবার জোয়ার ভাটায় মাঝে অর্ধহারে অনাহারে দিনাতিপাত করিতেছে। এ বিষয়ে জানার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ারুল নাছেরের মোবাইল ফোনে বারংবার কল করার পর ও কল রিসিভ করেননি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন