নুরুল আমিন হেলালী
কক্সবাজার সদরের জনগুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা ঈদগাঁওতে সম্প্রতি অনৈতিক কার্যকলাপ আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মোবাইলের অপব্যবহার ফেইসবুকসহ বিভিন্ন প্রযুক্তির অপব্যবহারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীরা অনৈতিক কার্যকলাপের দিকে বেশি ধাবিত হচ্ছে বলে জানান অনেকেই।
এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে এসকল অপরাধ ফাঁস হয়ে পড়ার আগেই মোটা অংকের টাকায় প্রভাবশালীদের যোগসাজশে ধামাচাপা দেয়ায় পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা। যার কারণে প্রতিনিয়ত এই অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জানা যায়, অতীতে সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁওয়ের ৭টি ইউনিয়নের বিশাল জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত অত্র এলাকায় অনৈতিক এমনকি বিকৃত রুচি সম্পন্ন ছোট-খাট অনৈতিক কার্যকলাপ ঘটলেও লোক-লজ্জা ও সমাজপতিদের রোষানলে থেকে বাঁচার ভয়ে প্রকাশ না করে জড়িত পক্ষদ্বয় গোপনে তাদের উপর প্রদত্ত শাস্তি মেনে নিয়ে সংঘটিত ঘটনার মিমাংসার করে ফেলত। সম্প্রতি এলাকার উঠতি তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে বিবাহিতরা এমনকি বয়োবৃদ্ধ লোকেরাও নানা অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। এতেও থেমে না থেকে অনৈতিক কাজের বিভিন্ন অশ্লীল দৃশ্য সম্বলিত ছবি, ভিডিও, আপত্তিকর কথা সম্বলিত অডিও ফেইসবুক, মোবাইল, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। যার কারণে এলাকার উঠতি শ্রেণির এসব কিছু ডাউনলোড কিংবা সংগ্রহ করে আপত্তিকর এসব দৃশ্য নিয়মিত দেখে তাদেরও জাগছে অনৈতিক ক্রিয়া। এক্ষেত্রে প্রবাসীর স্ত্রী-কন্যারাই সবচাইতে বেশি অনৈতিক জড়িয়ে পড়ছে। প্রবাসী পরিবার ও অভিভাবকদের উদাসীনতায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ন্ত্রহীন চলাফেরা ও মোবাইলের অবাধ ব্যবহারের কারণে দিনের পর দিন নারী-পুরুষরা অনৈতিক কার্যে জড়িয়ে পড়ছে। এছাড়া এসব কার্য জড়িয়ে পড়ছে। এসব কার্যকলাপের নিরাপদ জোন হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বাজারে ভাড়া কলোনী, মোবাইলের দোকান, স্বর্ণের দোকান, খাবার হোটেলের মহিলা কেবিনসহ অনেক গোপন আস্তানা। বৃহত্তর ঈদগাঁওতে অনৈতিক কার্যকলাপ এখন নিয়মিত রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে রোহিঙ্গা যুবতিদের দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে টার্গেট করে মোবাইল পরিচয়ের মাধ্যমে জিম্মি করে মোটা অংকের টাকা আদায় সহ বিভিন্নভাবে হয়রানির কাজে জড়িত রয়েছে কয়েকটি সিন্ডিকেট। এতে করে অনেক সম্মানী মানুষকে হেনস্থা করার অভিযোগ অহরহ। জানা যায়, একমাস আগে ঈদগাঁওয়ের এক মহিলা বাজারের রনি স্টুডিওর মালিকের বিরুদ্ধে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্কের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে ঈদগাঁহ তদন্ত কেন্দ্রে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তার এক বন্ধুসহ তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছে। কিন্তু রনির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঐ মহিলা তার কাছ থেকে ২ হাজার টাকা চাইলে না দেয়ায় তার উপর মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এসব কার্যকলাপ বন্ধের জন্য অভিভাবকদেরকে পরিবারের নারী-পুরুষদের প্রতি কঠোর নজরদারি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন