ঈদকে সামনে রেখে কোটি কোটি টাকা লেনদেন

হোন্ডি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে উখিয়া-টেকনাফের মাফিয়া ডনরা

কায়সার হামিদ মানিক: উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত অঞ্চল হোন্ডি ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে মাফিয়া সিন্ডিকেট ডনরা। তারা কোটি কোটি টাকা পাচার করছে মিয়ানমারে। ওয়েষ্টন ইউনিয়ন মানি ট্রান্সফার আশা ও ব্র্যাক অফিসের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ও এদেশের প্রবাসী আত্মীয়দের পাঠানো টাকা। এই টাকা এনজিও সংস্থা অফিস থেকে
প্রাপকের নিকট দেওয়ার জন্য কোন বিধি বিধান নেই। যাহা ইচ্ছা তা পাচ্ছে টাকা। ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা এই টাকা উত্তোলনের ব্যবস্থা করে একটি পিন কোডের মাধ্যমে। পবিত্র রমজানের ঈদকে সামনে রেখে হুন্ডি ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা বিদেশ থেকে পাঠাচ্ছে। আর হুন্ডি ব্যবসায়ীদের নিয়োগ কৃত লোকজন এই টাকা গ্রামে গঞ্জে গিয়ে বিতরণ করছে।
জানা গেছে, ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে আশা রিমিট্যান্সের পরিমান আগের তুলনায় কয়েক গুন বাড়লেও বন্ধ হয়নি হুন্ডির আগ্রাসান। উখিয়া টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকায় চলছে হুন্ডির অবৈধ রমরমা ব্যবসা। মিয়ানমারে পাচার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। মিয়ানমার আরকান রাজ্যের হাজার হাজার নাগরিক অবস্থান করছে কানাডা, যুক্ত রাষ্ট্র, সৌদি আরব, রাশিয়া, দুবাই, জার্মান, ইতালী, জাপান, পাকিস্তান, ভারত, সিঙ্গাপুর, মালেয়শিয়া, কাতার, কুয়েত, ইন্দোনেশিয়া মধ্যপ্রাচ্য সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। হুন্ডি মাধ্যমে এদেশে টাকা শুধু আসছেইনা বিপুল পরিমান অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে দেশের বাইরে ও। গত ১ বছরে বিদেশ থেকে প্রবাসীরা হুন্ডির মাধ্যমে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এলাকায় বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে ও এনজিও আশা, ব্র্যাক এর মাধ্যমে প্রায় এক হাজার কোটির অধিক টাকা। হুন্ডির মাধ্যমে দেশে আসছে এর কোন সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলে ও ২০০২ সালে একটি সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেধনে প্রতি বছর রিমিট্যান্সের প্রায় চল্লিশ শতাংশ বৈদশিক মুদ্রা হুন্ডির মাধ্যমে আসছে বলে উল্লেখ করা হয়। ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে  দেশে আসছে প্রায় একাহাজার ৯৯ কোটি ডলার সেই হিসাবে হুন্ডির মাধ্যমে দেশে আসছে বৎসরে ৪ কোটি ডলার। উখিয়া টেকনাফে অর্ধশতাধিক হুন্ডি ব্যবসার গড ফাদার রয়েছে। তার মধ্যে উখিয়ায় ২৫ টেকনাফে ৩২ জন। সৌদি আরব, পাকিস্তান, দুবাই, মলেয়শিয়া ও সিঙ্গাপুরে রয়েছে তাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। এ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুবাই, পাকিস্তান ও সিঙ্গাপুর হয়ে ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে উখিয়া টেকনাফে বিভিন্ন ব্যাংকের ও এনজিও সংস্থার পরিচালনাধীন ওয়েষ্টান ইউনিয়ন মানি ট্রান্সফার অফিসের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পাঠানো হয়। হুন্ডি সম্রাটদের বেনমে স্বনামে রয়েছে ব্যাংক একাউন্ট। আর রোহিঙ্গারা বিনা বাদায় নিয়ে যাচ্ছে এই বাধা। গত বছর ৬ ফেব্র“য়ারী উখিয়া থানার পুলিশ জনতার সহযোগিতায় বিপুল পরিমান হুন্ডির টাকা সহ আটক ইছুপকে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ৫৪ ধারা আদালতে প্রেরন করে। উখিয়া উপজেলার নিদানিয়া গ্রামের নুরুল্লাহ, আতিক উল্লাহ, উখিয়া সদর ষ্টেশনের ভিডিও দোকানের মালিক ও একটি মুদির দোকানদার এবং টেকনাফ উপজেলার পানখালী গ্রামের আবছার, ফদনার ডেইল গ্রামের সুলু সিন্ডিকেট করে কোটি কোটি টাকার লেনদের করছে হুন্ডির মাধ্যমে। উখিয়া টেকনাফের প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার ডলার হুন্ডির মাধ্যমে মিয়ানমারে পাচার করে দিচ্ছে এক শ্রেণীর হুন্ডি ব্যবসায় জড়িত লোকজন। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থা একে বারে নিরব। 
জানা গেছে, সম্প্রতী মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা এসব হুন্ডি চক্রের সদস্য ও ডলার পাচার কারীদের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট রিপোট পাঠিয়েছে। কিন্তু সরকার দুই মাস আগে এই সব  হুন্ডি চক্রের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিলেও মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এসব নির্দেশ কন্নপাত করেনি। সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ হুন্ডি ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রেরন করে তাদের নিকট পৌচানের জন্য স্ব-স্ব থানায় নির্দেশ দিলেও উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গিয়াস উদ্দিন মিয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছে এধরনের কোন তথ্য তার জানা নেই। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন